বুধবার, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কচুরিপানায় দিশেহারা চলনবিলের কৃষক

কাবিল উদ্দিন কাফি, সিংড়া (নাটোর): কৃষি প্রধান চলনবিলের মাঠ জুড়ে এখন কচুরিপানার স্তূপ আর স্তূপ। বন্যার পানি নেমে গেলেও জমি থেকে নামেনি কচুরিপানা। ফলে বোরোধান চাষে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। জমি থেকে কচুরিপানা অপসারণে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে তাদের।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত সাতপুকুরিয়া, ডাহিয়া, আয়েশ, বেড়াবাড়ি সহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে কৃষকদের জমি থেকে কচুরিপানা অপসারণের চিত্র দেখা গেছে। কৃষকরা বলছেন বোরো ধান আমাদের সব চেয়ে বড় অর্থকরী ফসল। এই আবাদের আগে কচুরী পানা অপসারণ আমাদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক তুহিন ও ডাহিয়া গ্রামের কৃষক আসাদুল জানান, প্রথমে কচুরিপানার উপরে ঘাস মারা বিষ স্প্রে করতে হয়। বিষ স্প্রে করার ৪ থেকে ৫ দিন পর কচুরিপানা মরে পঁচে যায়। এর ঠিক সপ্তাহ খানেক পর রোদে শুকিয়ে গেলে এই মরা পঁচা কচুরিপানা আগুনে পড়াতে হয়। এর পর শ্রমিক দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। সব মিলে জমি থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগছে তাদের। এতে প্রতি বিঘায় তাদের খরচ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।

কৃষকরা জানায়, বোরো ধান চাষ করে যে লাভের আশা ছিল এ বছর জমি পরিষ্কার করতে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে তাতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে কচুরী পানা ধবংসে যত্রতত্র ভাবে অতিমাত্রায় ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহারে হুমকিতে পড়েছে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য। অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যবহারের দাবি পরিবেশ কর্মীদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ জানান, চলতি মৌসুমে সিংড়া উপজেলায় বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। চলনবিলের নিচু এলাকার কিছু মাঠে বর্ষার সময়ে ভেসে আসা পরিষ্কার স্তূপ জমেছে। আমরা কৃষকদের পরিষ্কার ধবংসের জন্য ছত্রাকনাশক স্পৈ করার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া পরিষ্কার আগুনে না পুড়িয়ে জমিতেই স্তূপ করে জৈব সার তৈরী করার পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষি বিভাগ সবসময়ই কৃষকদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ