যায়যায়কাল ডেস্ক:দখলবাজ, চাঁদাবাজদের দুস্কৃতকারী অভিহিত করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। আড়াই লাখ মামলায় বিরোধী দলের নেতাদের ৬০ লাখ আসামি উল্লেখ করে তাদের দ্রুত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে 'বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে' এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশটা আমাদের। চারি ধারে কিছু মুখোশধারী বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে, চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, এরা দুস্কৃতকারী। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এদেরকে ঠেকাতে হবে, পুলিশে দেন। এই জায়গায় কোনো আপোষ করা যাবে না। সে যেই হোক তাকে মানুষের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে এই দুবৃর্ত্তায়ন যারা করে গেছেন, আমরা ১৭ বছর এদের বিরোধিতা করেছি। সেই দুর্বৃত্তদের সমর্থন করার কোনো সুযোগ নাই, যেখানে যে অবস্থায় পাবেন তাদেকে আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায়নের প্রশ্নে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সব সময়ে সর্তক থাকতে হবে।
দুদু বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের প্রতীক। এই ভিন্নতা যারা মাথায় না নিতে পারবেন তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী হচ্ছে কী হবে- এটা ব্যাখ্যা করে সামনে এগোতে পারবেন না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে সরকার, আমরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলা, তারেক রহমানের মামলা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামলা, বিএনপিসহ বিরোধী দলের আড়াই লাখ মামলার অধীনে ৬০ লাখ আসামি আছে। এরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, অনেকে জেলে আছেন, যাবজ্জীবন, ফাঁসির অর্ডার নিয়ে জেলে আছেন তারা এখনও মুক্তি পাননি।
তিনি বলেন, এদের মামলা যতক্ষণ প্রত্যাহার না হবে, এদের মুক্তি যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ ধরেই নিতে হয়, এই সরকারের বড় দাগের কোনো কাজ এখনও সম্পন্ন করতে পারেনি। এই সরকার আমাদের সরকার, গণতন্ত্রের সরকার, আন্দোলনের সরকার, ছাত্র-জনতার সরকার, তাহলে গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কাজ করছে তারা যদি মসিবতে থাকেন, তারা যদি কষ্টে থাকেন, তারা যদি এখনো নির্যাতনের মুখোমুখি হন তাহলে এটা এই সরকারের জন্য খুব ভালো সংবাদ বয়ে আনে না। কারণ এই সরকার তো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্যে আমরা অধিষ্ঠিত করেছি।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা