সামিউল আলীম, বগুড়া: ছাত্র অভ্যুত্থানের শেষ দিন ৫ আগস্ট। সবার মত সেদিন আন্দোলনে নেমেছিল ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্র রাতুল। তবে বেলা গড়ানোর পরপরই সবাই সরকার পতনের উল্লাসে মাতলেও রাতুল তখন আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছিলো হাসপাতালের বেডে।
৫ আগস্ট সকাল থেকেই বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভে ছিল রাতুল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রজনতার মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে এগোচ্ছিল সে সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাতুল। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে। প্রায় ১ মাস ২০ দিন চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার ভোরে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে রাতুল।
নিহত রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান।
তিনি আরও জানান, সোমবার ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে জানাজা শেষে রাতুলের মরদেহ নেয়া হবে বগুড়া শহরের হাকির মোড় এলাকায় নিজ বাসায়। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এছাড়াও রাতুলের মা জানান গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে আন্দোলনে যাওয়ার আগে রাতুলকে বলেছিলাম ‘বাবা বিকালের নাস্তা খেয়ে যাও’ জবাবে ছেলে বলেছিল ‘দেখি স্বৈরাচার হাসিনার শেষ পরিণতি কি হয়। শুধু দোয়া করো যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারি।
অল্প বয়সে রাতুলের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা