মো: রাসেল মিয়া, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান বলেছেন, যে আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাকর্মীদের মেরেছে, যাদের জন্য নেতাকর্মীদের চাকরি হয়নি তারা এখন আমাদের আপন হতে চাইবে। বিএনপির ঘাড়ে চড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আসবে। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। বহু কষ্টের পরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তা যেন নস্যাৎ না হয়।

শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে বন্যাপরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা বিএনপির একাংশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় কয়েক হাজার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মুশফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক কষ্ট করেছে। আমাদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের কথার বলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন। গত ১৫ বছর বিএনপির বহু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার ও মৃত্যুবরণ করেছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কীভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে তা আপনারা দেখেছেন। উনাকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সরকার। বিদেশে যেতে দেয়নি। আল্লাহর রহমতে জনগণের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে আছেন। আল্লাহর রহমতে এই অত্যাচারী সরকার চলে গেছে। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বিল্লাল খন্দকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ আমানুল্লাহ শাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন।

সভা শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন জিনিস উপহার দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের সাবেক সভাপতি শেখ আইয়ুবুর রহমান, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম তুরান, বিএনপি নেতা আলআমিন ভূঁইয়া, শাহীন খান, কাইয়ুম খান খাদেম, সাবেক ছাত্রদল নেতা মোবাশ্বের আহসান, মামুন আহমেদ, আসসাদিক ভূইয়া গালিব প্রমুখ ।