মোহাম্মদ মনির, স্টাফ রিপোর্টার: ইমাম আহমদ রেযার বিষ্ময়কর গবেষণা মুসলিম জাতির জন্য আশির্বাদ। তার বহুধর্মী গবেষণা সারা বিশ্ব মুসলিমের জন্য অনুপম নিদর্শন বটে।
মোট ৫৪টি বিষয়ে বিশ্লষণধর্মী গবেষণালব্ধ বই আজও দীপ্তমান হয়ে আছে প্রতিটি মানুষের মনের পাঠাগারে।
শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক বসুন্ধরা কনভেনশন (গুল নকশা) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বক্তারা এ কথা বলেন।
ইমামে আযম ও আলা হযরত গবেষণা পরিষদ কর্তৃক জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের আহবায়ক উপাধ্যক্ষ আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারত থেকে আগত আওলাদে রাসুল হুজুর আল্লামা সাইয়্যিদ শাহ মিসবাহ উল হক ইমাদী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাদেরী। আলা হযরতের জীবনী ও গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য ও তাত্বিক বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ স উ ম আব্দুস সামাদ, হাফেজ অধ্যক্ষ কাজী মুহাম্মদ আব্দুল আলীম রেজবী, সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দিদেদী, মাও. অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আল আজহারী, শাইখুল হাদীস মোস্তাক আহমদ, মুফতি মাহমুদুল হাসান আলকাদেরী, মাও. মুহিউদ্দীন লতিফী, মাও. মাসউদ হোসাইন আলকাদেরী, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন নঈমী, অধ্যক্ষ বদিউল আলম রেজভী, মাও. সেকান্দার হোসাইন আলকাদেরী, মাও. ইকবাল হোসাইন আলকাদেরী, হাফেজ গোলাম কিবরিয়া আল কাদেরী, মাও. শহীদুল্লাহ বাহাদুর, মাও. জয়নাল আবেদীন কাদেরী, মাও. সোলায়মান আলী রেজভী, মুফতি আজিজ রেজবী, অধ্যক্ষ কাজী মুহাম্মদ নুরুল আলম, অধ্যক্ষ নুরিন্নবী রাহমানী, মাও. নুরুল ইসলাম জিহাদী, শাইজ জয়নুল আবেদীন কাদেরী, কাজী মুবারক হোসাইন ফরায়জী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইকবাল, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, তবারক হোসেন মজুমদার, কজাী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিদ্দীকি আশরাফী, মাস্টার আবুল হোসেন, আব্দুল মালেক বুলবুল, মাঈনুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম বুলবুলি, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা আরও রলেন, চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেযা খান ব্রেরলবি (রহ.) দর্শন ও গবেষণা উগ্রবাদ দমনে শান্তিময় বিশ্ব গড়ার পাথেয়। মানবতার মুক্তির জন্য আমরণ কাজ করে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। ইসলামের মৌলিক বিষয়ের ওপর যখনই আঘাত এসেছে, তাৎক্ষণিক লেখনি ও বক্তব্যের মাধ্যমে তা রোধ করতে সময়ক্ষেপণ করেননি ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভি (রাহ.)। তাঁর তেজস্বী বক্তব্য এবং লেখনি ছিল শাণিত তলোয়ারের ন্যায়। তিনি কালের কি দাবি তা বুঝতেন সহজেই। এই জন্য পথভ্রষ্ঠ বর্ণবাদীরা তাঁকে সমীহ করে চলতো।
অর্থনীতি এবং সৌরজগতসহ বিবিধ বিষয়ে তাঁর দালিলিক বক্তব্য ছিল সময়ের সেরা আলোচিত বিষয়। আলা হযরতের পদাঙ্ক অনুসরণে বর্তমান প্রজম্মের জন্য অনন্য শিক্ষা মনে করেন বক্তারা।
সবশেষে মিলাদ, কিয়াম এবং মোনাজাতের মাধ্যমে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘটে।