আবিদ হাসান, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ হরিরামপুরে জেলে পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার ইউনিয়ন পরিষদের পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে৷ সাবেক এক ইউপি সদস্যের কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন চালা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ।
জানা যায়, গত বাংলা বছরের মাঘ মাসে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পুকুরের মাছ বিক্রি করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য শুকুর আলীর কাছে। পুকুরে বন্যার সময়ে আসা মাছ এবং কিছু ছাড়া মাছ ছিলো। শুকুর আলী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে থেকে ৩৫ হাজার টাকায় মাছ কিনে পুকুরের পানি সেচে মাছ ধরে নেন।
এ বিষয়ে মাছের ক্রেতা এবং সাবেক ইউপি সদস্য শুকুর আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের উপস্থিতিতে আমি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদের কাছে নগদ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে মাছ কিনে নেই। এরপর পুকুরের পানি সেচে মাছ ধরে নিয়ে এসেছি। তবে, মাছ বিক্রি করে আমার লোকসান হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন ইউপি সদস্য বলেন, পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা সকল ইউপি সদস্যদের মাঝে ভাগ করে দেয়ার কথা ছিল। পরে সেই টাকা কাউকে না দিয়ে একাই আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ। এছাড়া, বর্তমানে তার ঘনিষ্ঠ আবু বক্কারকে দিয়ে চেয়ারম্যান নিজে মাছ চাষ করিয়েছেন। অথচ, পুকুর বছর চুক্তিতে কারও কাছে ভাড়া (লীজ) দিলেও পরিষদের কিছু টাকা আয় হতো।
জানতে চাইলে চালা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ ও ইউপি সচিব আব্দুল বাছেদ মাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন। তবে, সেই টাকা কি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাতের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।