মোহাম্মদ মনির: বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থার (বাইসস) সরকার প্রদত্ত সম্মানী ভাতা থেকে ২০ কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এই ঘোষণা দেন।
সংস্থার মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের জাতীয় সংগঠন। তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের অর্থাৎ দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য/সদস্যাদের একটি জাতীয় সংগঠনের নেতৃত্বে সংগঠিত করে ইউপি সদস্যদের ভূমিকা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে সুশিক্ষিত ও শক্তিশালী অর্থনীতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত করে একটি আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদা সম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, সংগঠনের প্রতিটি সদস্যের জীবন দর্শন হলো গ্রামীণ জনসাধারণের সেবা ও বল্যাণ সাধন। স্বল্প সময়ের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও বাসস্থান। এই শ্লোগানকে বাস্তব রূপ দানের লক্ষ্যে সংগঠন ও ভার সদস্যবৃন্দ সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সমাজকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত যুব সমাজকে মুক্ত করতে যুগপোযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ সর্বোপরি দেশকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই সংগঠন একটি আর্থ-সামাজিক বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথমে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
সংস্থার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকফুরকান উদ্দিন বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যগণ ইতিমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহায়তার লক্ষ্যে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করে সংগঠনের নেতৃত্বে বানভাসী মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছি। একই সাথে সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকার স্থানীয়দের সাথে নিয়ে দূর্গতদের সহায়তায় সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দ্যেশে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা, কুটির শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আশাকরি।