জিয়াউল হক (খোকন), নিজেস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার খয়েরচারা গ্রামের মেসার্স লিটন ট্রেডার্স নামের একটি সুতা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানায় থাকা সুতা, যন্ত্রপাতি, ক্যামিকেল ও অন্যন্যা সামগ্রী পুড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। তবে কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপকের কোনো ব্যবস্থা ও বৈধ কাগজপত্রাদি ছিলোনা বলে জানান কারখানার মালিক।
ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মেসার্স লিটন টেডার্স সুতার ফ্যাক্টারিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটানা ঘটে। টের পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের ১৪ সদস্যের একটি টিম প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ১২ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। ততক্ষণে কারখানায় থাকা প্রায় ৬২ লক্ষ টাকার কাঁচা সুতা (৩০২ বান্ডিল), প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকার পাকা সুতা, প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মেশিন, প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্যামিকেলসহ কারখানার প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
খয়েরচারা গ্রামের রেজাউল মন্ডল বলেন, শ্রমিকরা কাজ শেষে মিল বন্ধ করে চলে গিয়েছিল। রাত ১০ টার দিকে মিলের মধ্যে থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ধোঁয়া দেখে কারখানার দরজা খুলে ভয়াবহ আগুন যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিভান বলে জানান তিনি। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে তাঁর ধারণা।
এবিষয়ে মেসার্স লিটন সুতা টেডার্স ও রিমি টুইস্টিংয়ের মালিক লিটন মন্ডল বলেন, রাতে কুমারখালী বাজারে ছিলেনন তিনি। ফোনে খবর পেয়ে দ্রুত কারখানায় ছুটে যান তিনি। গিয়ে দেখেন তাঁর ৬২ লক্ষ টাকার কাঁচা সুতা (৩০২ বান্ডিল), প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকার পাকা সুতা, প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মেশিন, প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্যামিকেলসহ কারখানার প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, তাঁর কারখানায় প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপকের কোনো ব্যবস্থা ও বৈধ কাগজপত্রাদি ছিলোনা। তিনি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা ও ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে প্রায় দুইঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সুতার কারখানাটি অনেক বড়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোহসীন হোসাইন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। আগুন লাগার বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা