মো. মাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর : জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের মহিলা দলের আহ্বায়ক চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ বলেছেন, রাজনীতিতে টাকা নয়। নিজের কর্মকাণ্ড গুনাগুন দিয়ে মানুষের সেবার মাধ্যমে আস্থার জায়গা গড়ে তোলায় প্রধান্য দিয়েছি। আমার চার পুরুষ রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগতভাবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এটা শুধু ফরিদপুরবাসী নয়, দেশের প্রতিটি স্থানের মানুষ জানে।
ফরিদপুরের সাবেক এমপি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ আরও বলেন, হাজী শরীয়তউল্লাহর বংশধর ছিলেন আমার পরিবার। আমার পরিবারের সুনাম এবং জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কিছু কুচক্রী মহল নানানভাবে মিথ্যা, বানোয়াট কথা বলে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। ফরিদপুরবাসী ভালো করে জানে আমার পরিবার অর্থলোভী না, বরং নিজের যা কিছু তাই দিয়ে জনগণের সেবা করে থাকেন।
বুধবার ফরিদপুরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটতে দীর্ঘ গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিলো অবশেষে ছাত্রজনতা সহ সাধারণ মানুষ ঐতিহাসিক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বর্বরতার হাত থেকে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছে। তবে বর্তমান দেখা যাচ্ছে এই সুযোগে রাজনৈতিক দলের মধ্যে থাকা কিছু নেতারা একে অপরে পিছনে লেগে নিজেকে জাহির করার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে চলছে।
চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ বলেন, বিএনপি একটি ঐতিহাসিক দল, যে দল সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। দেশের গণমানুষের কথা বলে থাকেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলার মানুষের নিবেদিত প্রাণ।আমার পিতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ছিলেন সেই মহান ব্যক্তির একজন আদর্শ সৈনিক, আমার পিতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ১৯৪০ সালের ৩রা মে ফরিদপুর জেলায় সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালি জমিদার পরিবারে জম্মগ্রহন করেন। আমার বাবার পিতা ছিলেন চৌধুরী ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস। তার পিতা ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া) ব্রিটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। তাঁর চাচা চৌধুরী আব্দুল্লাহ জহিরউদ্দিন (লাল মিয়া) প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সরকারের মন্ত্রীসভায় ছিলেন এবং ছোট চাচা এনায়েত ছিলেন।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সিংহ পুরুষ হাজী শরীয়তউল্লাহর বংশধর বাহাদুরপুরের পীর বাদশাহ মিয়া সাহেব তার নানা ছিলেন। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন(ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কে-অর্ডিনেটর (ডিডিসি) হিসেবে নিয়োগ দেন। ফরিদপুর-৩ আসন থেকে তিনি দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ট, সপ্তম এবং অষ্টম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮১ সালে তিনি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের মন্ত্রি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ২০০১ সালে খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপালন করেন।আমার বাবা দেশ, জাতি, জনগণের কল্যানে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বিনয়ী, সদালাপী ও মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এলাকায় মানুষের নিকট ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন এবং দলমত নির্বিশেষে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একজন পরিচ্ছন্ন রাজনিতীবিদ। আমার বাবার অবর্তমানে ঐতিহাসিক ময়েজ মঞ্জিল থেকে রাজনীতির নেতৃত্ব দিচ্ছি।
চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বাবার পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন এবং ওই সময়ে একটি রাজনৈতিক মামলায় জেল খেটে তিনি ময়েজ মঞ্জিলের প্রথম নারীবন্দী হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। সেই থেকে তিনি রাজনীতির মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত রেখে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। ফরিদপুর বাসীর সকল বিপদে আপদে নিজের সবটুকু দিয়ে পাশে থাকেন। তার জনপ্রিয়তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে ফরিদপুরে বিএনপির দলের মধ্যে থাকা কিছু নেতারা সমাজে বিবৃতি কর পরিবেশ সৃষ্টি করে চলছে। তবে তিনি৷ তার পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে ধারণ করেই জনগণের কথা বলার জন্য রাজনীতির মাঠে কাজ করে যাবেন বলে জানায়। শহীদ জিয়ার আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা