প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৫, ৩:৪৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ৮:০৭ অপরাহ্ণ
গাইবান্ধায় ভূট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মাইদুল ইসলাম, রংপুর ব্যুরো: গাইবান্ধায় এবার ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গতবারের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে এক সম্ভাবনায় মুহুর্ত।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে দেখা যায় ভূট্টার চাষাবাদে ভরপুর। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূট্টার মোটা অংকের জোগান দেয় গাইবান্ধা জেলা। কৃষি অফিসের নিরলস পরিশ্রম আর কৃষকের হাড় ভাঙ্গা খাটুনি দেশের কৃষি উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক বাবলু মিয়া জানান, "এবারকার আবহাওয়া ম্যালা ভালো" ভূট্টার কলা গুলা মোটা হইছে" আল্লাহর রহমতে ম্যালা ভূট্টা পামো"।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহাদৎ হোসেন জানান, উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে ভূট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার হেক্টর জমি। আমরা তা সফল হয়েছি। চরাঞ্চলের পাশাপাশি মেইন ল্যান্ডেও ভূট্টা চাষের প্রবণতা বেড়েছে। কৃষকদের সহায়তা এবং কারিগরি পরামর্শ দিয়ে সব সময় পাশে থেকে কাজ করছে সদর উপজেলা কৃষি অফিস। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবারের তুলনায় ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, কৃষকদের নিয়ে কৃষি অফিসের স্বপ্ন। ভালো পরামর্শ এবং কারিগরি সাপোর্ট ভালো ফলনের সম্ভাবনা। তবে আমার জানামতে গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার অনেক দক্ষ অফিসার। কৃষকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে সব সময় তিনি পাশে থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
এ দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পাশাপাশি ফুলছড়ি উপজেলাতেও ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, এই উপজেলার প্রায় ৭০ ভাগ চাষাবাদ হয় চরাঞ্চলে। চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে পৌঁছে পরামর্শ ও সেবা দেয়া কিন্তু অনেকটা চ্যালেঞ্জের। তবে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সর্বোচ্চ সেবার মান অব্যাহত রাখতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করছেন ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়া।
ভূট্টার ফলন নিয়ে কথা হয় ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়ার সাথে,তিনি জানান, কৃষকদের চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতেই প্রণোদনা। এ বছরে আমার উপজেলায় ভূ্টা চাষ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর জমি। উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহারে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ প্রদান করে আসছে ফুলছড়ি কৃষি অফিস। এবারের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশা করা যায় ভূট্টায় অনেক ভালো ফলন পাবেন কৃষকরা।
সচেতন মহল বলছেন, কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ ও সঠিক কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা ভালো ফসল উৎপাদনে সক্ষম। কিন্তু ফসল উৎপাদনের পর যখন ভালো দাম না পায় তখন কৃষকের মাঝে নেমে আসে হতাশার কালো ছায়া। ভালো ফসলের ভালো মূল্য পেয়ে কৃষকেরা যাতে কৃষি কাজে বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারে সে জন্যে কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজার সিন্ডিকেট দূর করেন এমনটাই প্রত্যাশা।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা