নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার উজির ধরনীবাড়ী গ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে দুইটি ইটভাটা। সচেতন মহলের প্রশ্ন কোন খুঁটির জোরে চলছে মো. গোলাম মোস্তফার এমজিএম ও প্রদীপ কুমার বকসীর দাস ইটভাটা। নেই আইনী প্রতিকার।
জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাট লক্ষীপুর রোডে উজিরধরনীবাড়ী নামক গ্রামে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ১শ’ গজের মধ্যেই নীতিমালা লঙ্ঘন করে পরিচালনা করে আসছেন মের্সাস এমজিএম ও দাস ইটভাটা দু্টটি। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেম অন্যদিকে দূষিত হচ্ছে গ্রামের আবহাওয়া।
আইনে আছে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের উজির ধরনীবাড়ী গ্রামে (যা পৃর্বে সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত) এই ইটভাটা দু্ইটি চলছে কোন খুঁটির জোরে? ভাটা ২টি সংলগ্ন একমাত্র ব্যস্ততম পাকা সড়ক। সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে উজির ধরনীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বয়োবৃদ্ধ, রাস্তায় যাতায়াতকারী পথচারী ও স্কুলের শিশু-কিশোররা বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আইনে আছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি ইট তৈরির জন্য কৃষিজমি, পাহাড়, টিলা, মজা পুকুর, খাল, বিল, খাঁড়ি, দিঘি, নদ-নদী, বা পতিত জায়গা থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় আনতে পারবে না। অথচ এ ভাটা ২টিসহ জেলার অধিকাংশ ইটভাটায় আইন মানা হচ্ছে না। তারা ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে, ভারি যানবাহন দ্বারা ইট বা ইটের কাঁচামাল পরিবহন করা আইনের (৫ ধারা) লঙ্ঘনের শামিল।
আইনানুযায়ী আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি. কৃষি জমি ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এ ভাটা ২টি তার বিপরীত। তাই অননুমোদিত স্থানে ইটভাটা স্থাপন করার দায়ে বিধি মোতাবেক ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ২ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া দরকার বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন। বিষয়টি গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এটাই ভুক্তভোগী জনসাধারণের প্রত্যাশা।