আশরাফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ বন্ধের হুমকি ও বয়োবৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরে। গেলো শুক্রবার রাতে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকির অভিযোগ করেন ভূক্তভূগী এক নারী। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত একটি অভিযোগও দাখিল করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশি অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর ৩৬নং ওয়ার্ডের মালেকের বাড়ী ওঝারপাড়া এলাকায় চাঁদা না পেয়ে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এসময় চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে ওই বাড়ির বয়োবৃদ্ধ মালিককে বেধম মারধর করা হয়। বর্তমানে তিনি শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ভূক্তভূগীর পুত্রবধূ নাজনীন সুলতানা কয়েকজনের নাম উল্লেখ পূর্বক নগরীর গাছা মেট্রো থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে বিচার প্রত্যাশা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, বিবাদীরা স্থানীয় প্রভাবশালী ও খারাপ প্রকৃতির লোক, এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত তারা। নেশার টাকার যোগান দিতে তারা প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে থাকেন বহিরাগত ক্রয় সূত্রে জমি/ বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে নগরীর বাসন থানার ১৪নং ওয়ার্ডের সোহেল, আনোয়ার, নূর আলম, সাজ্জাদ, রাতুল, তমালসহ আরো বেশ কয়েকজন প্রতিবেশি ভিন্ন থানার বাসিন্দা হওয়ায় বিভিন্ন সময় নানা ভাবে অত্যাচার করে লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে ভূক্তভূগীর নিকট। তাছারা স্থানীয় একাধিক সূত্রমতে বহিরাগত কেউ বাড়ি নির্মান করলে তাদের চাঁদা দিতে হয় মোটা অংকের। এমনকি ইট-বালু, সিমেন্ট তাদের কাছ থেকে গ্রহণেও বাধ্য করা হয়। সেখানেও কৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয় মোটা অংকের মুনাফা।
ভূক্তভূগী পরিবারের সদস্যরা জানান দাবিকৃত চাঁদার টাকা বুঝে পেতে শনিবার (২২ফেব্রুয়ারি) সকালে ফের ওই বাড়ির মুরব্বি বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ রোগী অভিযোগকারির শশুর শেখ আফতাব (৬৭) কে ডেকে পাঠায় অভিযুক্তরা। তখন চাঁদা না পেয়ে বেধম মারধর করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এতে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে অভিযোগকারী তার শশুরের কাছে সব জেনে গাছা থানা পুলিশের কাছে এ ঘটনায় জরিত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত সহায়তা চেয়েছেন।
স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে আ'লীগের সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মেও জানান প্রতিবেদককে। আ'লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের পাশে ছবি তুলেও তিনি অপকর্মে লিপ্ত থাকতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছারা কিশোরগ্যাং নিয়ন্ত্রনসহ স্থানীয় ও বহিরাগত উঠতি বয়সের কিশোরদের তার হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করে থাকেন বলেও অভিযোগ তোলেন শান্তিকামী আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেলের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমার অফিসে আসেন" সময় সংকীর্ণতার কারনে মোবাইল ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, "আসেন আপনার সাংবাদিকতা মাপি, আপনি কয়ক্লাস পড়াশোনা করেছেন দেখি, মেট্রিক পাশ না আয়ে পাশ নাকি বিয়ে পাশ মাফুন লাগতোনা আয়েন।"
তাছারা তিনি বিভিন্ন জনের নাম পরিচয়ের মারফতে ঔদ্যত্তপূর্ণ আচরণ করে সাংবাদিকতা মাপতে চান দৈনিক নতুন সময় প্রতিবেদক ফাহিমের। এ বিষয়ে দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধ নাসিরুদ্দিন ও মুক্ত খবর প্রতিনিধি এবং গাছা প্রেসক্লাবের সম্পাদক আব্দুল হামিদ খানকে হত্যার হুমকিও দেন।
এ ঘটনার বিষয়ে গাছা থানা বিএনপির সভাপতি বাবুল সিপাই, থানা জামায়াতের আমির মিয়াজউদ্দিন মাস্টার-সহ স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরাও দুঃখ্য প্রকাশ করে অভিযুক্তের শাস্তি দাবী করেন।
এসব বিষয়ে গাছা মেট্রো থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা প্রকৃয়াধীন। শীঘ্রই আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা