যায়যায়কাল ডেস্ক: গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক "মুনির আল-বারশ" গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।
তিনি জানান, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৭,৯৫৪ জন শিশু এবং ১২,৩৬৫ জন মহিলা নিহত হয়েছেন। পার্সটুডে জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের এই পরিচালক গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য খাতকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার মুখোমুখি উল্লেখ করে, গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বলেন, গাজার বাইরে ২২,০০০ রোগীর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন, যার মধ্যে ১৩,০০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইতিমধ্যে, গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে গাজার ৬,০০,০০০ এরও বেশি শিশু স্থায়ী পক্ষাঘাত এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, যদি গাজা উপত্যকায় টিকা প্রবেশ না করে, তাহলে ৬,০২,০০০ শিশু পক্ষাঘাত এবং স্থায়ী প্রতিবন্ধি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা করেছে যে দখলদার সরকারের আক্রমণের ফলে হাসপাতালের অভ্যন্তরে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট এবং বিকল্প জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা "মুনির আল-বারশ" ঘোষণা করেছেন যে গাজার ২০টি হাসপাতাল সম্পূর্ণরূপে অকেজ হয়ে পড়েছে।
বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৫১,৩০৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে যে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় আহতের মোট সংখ্যা ১,১৭,০৯৬ জনে পৌঁছেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা