স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ী গ্রামের বৃদ্ধা জুলেখা বেগম (৬৫) ছেলে সোহেল রানা গোদাগাড়ী থানার একটি মামলায় কারাবন্দি। ছেলেকে শেষবারের মতো একবার দেখার আকুতি ছিল তার। কিন্তু তার সে ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেল।
বুধবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নিজ বাড়ীতেই মারা যান। মাকে শেষ বিদায় জানাতে সোহেল রানা বাড়ী ফিরলেন ঠিকই। বুধবার মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাযায় অংশ নিয়ে তাকে শেষ বিদায় জানান।
প্রতিবেশীরা জানান, মায়ের অত্যন্ত আদরের সন্তান ছিলেন সোহেল রানা। মাকে রেখে সোহেল কোথাও রাত কাটাতেন না। অথচ পুলিশের দায়ের করা মাদকের পলাতক মামলায় সেই ছেলে মায়ের চোখের আড়াল প্রায় ১ বছর। এ কারণে সারাক্ষণ বৃদ্ধা মায়ের চোখের কোণে পানি জমে থাকত। ছেলেকে শেষবারের মতো তার একবার দেখার আকুতি ছিল। কিন্তু তা অপূর্ণই থাকল। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জানাজা শেষে জুলেখা বেগমকে দাফন করা হয় স্থানীয় কবরস্থানে। সোহেল রানা কবরস্থানে পৌঁছালে স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তানের কান্না আর আকুতিতে কেঁদেছেন অন্যরাও।
পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, সোহেলের মা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং শরীরটাও তার ভালো যাচ্ছিল না। ছেলে কারাগারে থাকায় সব সময় চিন্তা করতেন। মৃত্যুর আগে এক নজর ছেলের মুখটা দেখার আকুতি ছিল তার। কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না।
বুধবার মাকে শেষবারের মতো দেখতে ২ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পান সোহেল রানা । মুক্তির পর মায়ের দাফন শেষে আবার তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, মায়ের মৃত্যুর কারণে সোহেল রানা বুধবার বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর সঙ্গে থাকা জেলা পুলিশ তাকে আবার কারাগারে পাঠান"
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা