শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কেরে নিয়েছে নির্মাণ শ্রমিক আলমগীরের মাথা গুজার ঠাই

নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: গতো সোমবার মধ্যরাতে ভোলার কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে সিলেট অঞ্চল দিয়ে ভারতে গিয়ে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা ।

বিভিন্ন জেলা থেকে ঝড়ের কারণে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।তবে এদের বেশির ভাগের গাছ চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নড়াইল, ভোলা, বরগুনায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা গ্রামের মোহাম্মদ রুপ মিয়া’র ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক,প্রতিদিনের মতো সোমবার তিন মেয়ে এবং স্ত্রীকে ঘুমাচ্ছিলেন মধ্যরাতে বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়,ঘুম থেকে উঠেই দেখে সারা শরীল বৃষ্টিতে ভিজে গেছে ঘরের চালে বিশাল আকৃতির গাছ পড়ে আছে,অল্পের জন্য প্রানে বাচেন সবাই,কোন রকমে স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে ঘর থেকে বের হতে সক্ষম হয়।

কিস্তিতে টাকা উঠিয়ে ঘরটি তৈরি করেছিলেন কয়েক মাস আগে,আকষ্মিক দূর্ঘটনায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কেরে নিয়েছে মাথা গুজার একমাত্র ঘরটি। কিস্তির টাকা পরিশোধের আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গেলেন নির্মাণ শ্রমিক আলমগিরের পরিবার।

স্থানীয়রা জানান,স্থানীয় মোহাম্মদ শহীদ মিয়ার একটি বাগান বাড়ি আছে,সেই বাগানে প্রচুর গাছপালা,এবং বিশাল আকৃতির কিছু চামল গাছ রয়েছে,যার ফলে অল্প বাতাসেই ঢাল পালা ভেঙ্গে পড়লে স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

যার কারনে বিগত তিন বছর যাবত তাকে এই বিশাল আকৃতির গাছ গুলো কেটে ফেলার জন্য সবাই অনুরোধ করেন।কিন্তু তিনি তা কোন ভাবেই আমলে না নিয়ে সবাইকে নিয়মিত হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র প্রভাবে মোহাম্মদ শহীদ মিয়া’র গাছ ভেঙ্গে পড়ে একাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর কোন খবরাখবর নিয়ে উলটো গাছের গুড়ি নেওয়া নিয়ে সবাইকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।

ভুক্তভোগী রুপ মিয়া মিস্ত্রী জানান,গতো তিন বছর যাবত তার গাছ গুলো কাটার জন্য অনুরোধ করতেছি,তিনি গাছতো কাটেই না উল্টা তার একজন মেয়ের ঘরে নাতি আছে সরকারী চাকুরী করে মুরাদনগর বাড়ি সে মাঝে মাঝে এসে সবাইকে গালাগালি করে এবং জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান,অনেক কষ্ট করে ঘরটি তৈরি করেছিলাম,এই গাছ গুলো আগে কেটে ফেললে আমারা ক্ষতিগ্রস্ত হতাম না। আমি এখন কিভাবে আমার সন্তানদের নিয়ে থাকব সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে আছি, আজ ৩ দিন হয়ে গেল ঘরের কাজে হাত দিতে পারিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু নেছার জানান, আলমগীর গরীব মানুশ,তার বাড়িতে গিয়েছিলাম,শহীদ মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি আমাদের কোন কথা শুনিতেই রাজিনা। এই ব্যাপারে গাছের মালিক মোহাম্মদ শহীদ মিয়ার বাড়িতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।

এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ঘরের মালিক অর্থের অভাবে ঘরটি মেরামত করতে পারেনি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ