চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে নোঙর করে রাখা অগ্নিকাণ্ডের শিকার ট্যাংকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনার সময় তারা জাহাজে অবস্থান করছিলেন। নিহত দুজনের নাম ও পরিচয় এখনো জানা না গেলেও তারা জাহাজের কর্মকর্তা হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের জ্বালানি তেল খালাসের জেটিতে নোঙর করে রাখা ট্যাংকারটিতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। বেলা আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের শিকার ট্যাংকারটির নাম এমটি বাংলার জ্যোতি। পতেঙ্গা এলাকায় ইস্টার্ন রিফাইনারির সামনে ডলফিন অয়েল জেটিতে ট্যাংকারটি নোঙর করে রাখা ছিল। ইস্টার্ন রিফাইনারির জন্য ট্যাংকারটি সাগরে নোঙর করে রাখা বড় ট্যাংকার থেকে তেল পরিবহন করে জেটিতে নিয়ে আসে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ দুপুর আড়াইটার দিকে বলেন, ‘আমরা দুজনের লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই আমরা। এরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত বন্দরের সাহায্যকারী জলযান পাঠানো হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন বন্দর চ্যানেলে কোনো সমস্যা না হয়, সেটি আমরা দেখছি।’
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর, ইপিজেড ও কেইপিজেড স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও।
দুর্ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে জ্বালানি তেল ছিল কি না এবং কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। জানতে চাইলে ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাত প্রথম আলোকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে বন্দর, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা