নিরেন দাস, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: আমি আমার সংসার ফিরে পেতে চাই। সমাজের অন্যান্য স্ত্রীর মত আমিও করতে চাই স্বামীর সংসার। আমার কোলজোরে আসবে ফুটফুটে সন্তান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রথা অমান্য করে আমার স্বামী করেছে দ্বিতীয় বিয়ে। কান্না জরিত কন্ঠে পপি সরকার এসব কথা প্রতিবেদককে জানান।
জানা যায়, নওগাঁ জেলার মান্দা থানার সাহাপুকুরিয়া গ্রামের নিরাঞ্জনের মেয়ে পপি সরকারের সঙ্গে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার বলি গ্রামের আশুতোষ র্বরমনের ছেলে মানিক সরকার পপির সরকারকে হিন্দু শাস্ত্রমতে ১ মার্চ ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। পপির বাবা নিরাঞ্জন বিয়ের সময় নিয়ম ও প্রথা মেনে মেয়ের সুখের জন্য নগদ টাকা, ব্যবহার্য আসবাবপত্র ও স্বণার্লঙ্কার যৌতুক হিসেবে ছেলেকে প্রদান করেন।
কিন্তু বিধিবাম! একবছর বছর যেতে না যেতেই প্রথম স্ত্রী পপি সরকারকে কোনো কিছু না জানিয়ে তার অনুমতি ব্যতিরেকে শ্রাবনী নামের একটি মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মানিক সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে পপি বলেন, আমার স্বামী মানিক সরকার লোভে পরে (নার্স) শ্রাবণী নামের মেয়ের সাথে পরোকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। পরে আমাকে না জানিয়ে গত ৩১ আগস্ট ২০২২ইং রাতে তার পরিবার তাকে বিয়ে দেয়। আমি আমার সংসার ফিরে পেতে চাই৷ আপনারা আমার জন্য কিছু করেন আমাদের ধর্মে ২য় বিয়ে হয়না, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করছি৷ এদিকে পপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সংসারবিহীন নিদারুণ কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছেন।
হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্ভব নয়। একবার বিয়ে হয়ে গেলে আর ডিভোর্স বা তালাক সম্ভব না।
অপর দিকে পপি আরও বলেন গত শুক্রবার (৯ সেপটেম্বর) বিকেলে মাত্রাই ইউনিয়ন কর্যালয়ে লজিক চেয়ারম্যনের মাধ্যমে একটি বৈঠক ছিলো মানিক স্থানীয় ছেলে হওয়াই চেয়ারম্যান তার পক্ষে ছাপায় গাইছে, এখন আইনের আশ্রয় ছাড়া আমার কোন পথ নেই৷
অভিযুক্ত মানিকের সংঙ্গে এ বিষয়ে একধিবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় তার কোন ব্যক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাত্রাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যন আনম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক জানান, আমি উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি৷ যেহেতু তারা হিন্দু ধর্মের লোক, সেহেতু দেশে আইন আছে। সেই আইনে মেয়েটি জেনো সঠিক প্রতিকার পায়৷
এবিষয়ে স্থানীয় আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলে এডভোকেট রায়হান আলী বলেন, বতর্মান সরকার নারীর অধিকারের সবোর্চ্চ সম্মানের কথা বিবেচনায় রেখে নারী বৈষম্য দূরীকরণে কাযর্কর ভূমিকা রেখে আসছে। শুধু নারী নিযার্তন বন্ধ কিংবা নারী-পুরুষের সমান অধিকার বুলি ফোটালে হবে না, পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে অভিন্ন পারিবারিক আইন গ্রহণের এ উদ্যোগকে আরও সক্রিয় করতে হবে। তবেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, তাহলেই ফিরে পাবে নারীর অধিকার৷
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা