যায়যায়কাল ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের পর থেকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনবার তিনি কথা বলেছেন।
ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রতার বন্ধন আরও দৃঢ় করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভাল আলোচনা হয়েছে। আর ইরান যে হুমকি সৃষ্টি করে আছে সে ব্যাপারে ট্রাম্প ও তিনি একমত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ইসরায়েলি ফুটবল প্রেমীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গও এসেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের নিজেদের এবং আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষায় যা করা প্রয়োজন আমরা করব।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্প জয় ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই সবার আগে তাকে টুইটে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন’ বলে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। নেতানিয়াহু এর আগে ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভাল বন্ধু বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
ট্রাম্পও তার আগের মেয়াদে ইসরায়েলের অনুকূলে কিছু কাজ করে দেশটির পছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। ইসরায়েলের বিরোধিতা করে আসা ‘ইরান পারমাণবিক চুক্তি’ ট্রাম্প বাতিল করেছিলেন। কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যা চাইবেন, তাই যে ট্রাম্প দেবেন সেরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ প্রথমত: সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ পছন্দ করেন না। যুদ্ধকে ব্যয়বহুল হিসাবেই দেখেন তিনি। গাজায় ইসরায়েলকে জলদি যুদ্ধ শেষ করার আহ্বানও ট্রাম্প জানিয়েছেন।
তাছাড়া, ট্রাম্প অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের ইহুদি বসতি বাড়ানোরও পক্ষে নন। পশ্চিম তীরের কিছু অংশ ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নিতে কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার ইচ্ছারও বিরোধী তিনি। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে ইসরায়েলকে একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ নিয়েই চলতে হবে।
জরিপে দেখা গেছে ইসরায়েলিদের কাছে ট্রাম্প জনপ্রিয় একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ইসরায়েলি ট্রাম্পকে আরেক মেয়াদে হোয়াইট হাউজে দেখতে চেয়েছে- এমনটিই বলছে জরিপের ফল। তবে তার ‘আনপ্রেডিক্টেবিলিটি’ এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও অনেকে সতর্ক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।