গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের কাউন্সিল (সম্মেলন) উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে টানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের একাংশের নেতৃবৃন্দ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ডুয়েট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তুহিন জানান, গত ৩০ জুন ডুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তখন এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার টানানো হয়েছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে এ সম্মেলন স্থগিত করা হলেও এ ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন ক্যাম্পাসে ওই অবস্থায় থেকে যায়।
শুক্রবার বিকেলে ডুয়েটের মালিরা ওইসব ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছিলেন এবং সেগুলো এমনভাবে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছিল যে তা পদদলিত হচ্ছিল। ডুয়েট শাখার সভাপতি মো. তাইবুর রহমানের উপস্থিতিতে জাতির জনক, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পোষ্টার-ব্যানারে থাকা ছবিগুলো ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়ার ঘটনাটি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেও অবমাননার শামিল মনে হচ্ছিল। পরে আমাদের ছোট ভাইয়েরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে মালিদের নিয়ে তারা গেস্ট রুমে বসিয়ে রাখে এবং স্যারদের কাছে ঘটনা জানতে যান। তাদের সেখানে অবরুদ্ধ করা হয়নি। মিছিলে প্রতিবাদকারীরা ছাত্রলীগের এ সভাপতির বহিস্কারের দাবি জানায়।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের ডুয়েট শাখার সভাপতি জানান, ডুয়েট স্যারদের নির্দেশেই মালিরা ওই ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণ করছিলেন। এতে কারো প্রতি অসম্মান করা হয়নি। তারপরও তারা মালিদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ডুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রকৃত ঘটনা জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা হলেন- ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের সহকারি পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক এসএম মাহফুজুর রহমান, সহকারি প্রভোস্ট বিপ্লব কুমার রায় ও মো. জাকির হোসেন। তাদেরকে এ ব্যাপারে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।