বৃহস্পতিবার, ৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু

মো. রাশেদুল ইসলাম কচাকাটা (কুড়িগ্রাম):  তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে রংপুর জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন চরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচির লক্ষ্য তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা, অন্তর্বর্তী সরকারকে চুক্তি বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করা এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিস্তার সংকট তুলে ধরা। কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তা পাড়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, রাতযাপন এবং খাবার তৈরি ও বিতরণের জন্য তিনটি পৃথক প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে। তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে এই আন্দোলন জনদাবিতে পরিণত হওয়ায় এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলন নেতারা।

‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, “তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের দাবি নয়। এটি রংপুরবাসীর আন্দোলন। আমরা আশা করছি, কর্মসূচিতে ব্যাপক লোক সমাগম হবে।”

এই কর্মসূচিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন। এছাড়া কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হয়েছে।

তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর আন্দোলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের চেষ্টা চলবে। আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, সরকার দ্রুত তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *