সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

থানচিতে টানা বৃষ্টিপাতের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাত বর্ষনে সাঙ্গু নদীর উজানে ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বান্দরবানে থানচিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বইক্ষ্যং ঝিরি, কানাইক্ষ্যং ঝিরি, থাইংক্ষ্যং ঝিরি, পদ্মঝিরি ও কৌওয়াক্ষ্যং ঝিরিসহ অভ্যন্তরীণ গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে উপজেলা সদরে সাথে যোগাযোগ এবং সাধারণ মানুষের চলাচলের বিঘ্নিত সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে গত বুধবার রাতের ভারী বর্ষণ হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্যে থানচি উপজেলায় বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ পাড়া কিংবা গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলের উপর বিঘ্নিত ঘটে। সাঙ্গু নদীর উজানে পাহাড়ি ঢলে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধি কারণে নতুন পাড়া, বাগান পাড়া, হিন্দু পাড়াসহ নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। টানা বৃষ্টিপাত বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান এবং সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সর্তক অবলম্বন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ পাড়া রাস্তাগুলো সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপর বিঘ্নিত হচ্ছে। টানা আরো কয়েকদিন বৃষ্টি থাকলে গত বছরের মতো বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে পাড়াগুলোতে পানি উঠেছে। কোনো কোনো পাড়ার উপজেলা সদরে সাথে সড়ক যোগাযোগ করতে পারলেও অনেকটা পাড়ার বাসিন্দাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে সাঙ্গু নদীর উজানে ঢলে পানি নেমে নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। তিন্দু ও রেমাক্রী সাথে সদরে নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আরো কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত থাকলে যোগাযোগসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে জনজীবন বিঘ্নিত হবে, নেটওয়ার্ক বিহীন ২ উপজেলায় এখন পর্যন্ত নৌ-যোগাযোগ বন্ধ আছে বলে এমনতা জানিয়েছেন- তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সাঙ্গু নদীর উজানে বৃষ্টি পানি ঢলে নেমে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সাঙ্গু নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের বাড়ি-ঘর এবং ফসলি জমিগুলোতে পানি উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোডের কালবার্টসহ মিশন পাশ্ববর্তী সেতু ডুবে স্থানীয় লোকজনে চিকিৎসার সেবাসহ সদর বাজার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সৃষ্টি হয়েছিল। এপর্যন্ত উপজেলা সদরে সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনো নতুন পাড়া, বাগান পাড়া, হিন্দু পাড়াসহ নিম্নাঞ্চলে ফসলি জমিগুলো পানিবন্দি রয়েছে।

বলিপাড়া ইউনিয়নের মেম্বার সজল কর্মকার বলেন, এতদিন বৃষ্টিপাত হলেও গত ৩১ জুলাইয়ের রাতে ভারী বর্ষণের ফলে সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে বাগান পাড়া ও হিন্দু পাড়া ব্রিজটি ডুবে গেছে। একই সাথে থানচি বান্দরবান প্রধান সড়কে বাগান পাড়া অবস্থিত ব্রিজটিও পানিতে ডুবে গেছে। যদিও হাঁটু সমান পানি হওয়ায় কোন মতে এখনো চলাচল করতে পারছে।

বলিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, এখন পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেনি। তবে নিম্নাঞ্চল বাগান পাড়া, হিন্দু পাড়া রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে, যার কারনে সাধারণ মানুষের চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। যদি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে, বন্যা আশঙ্কা রয়েছে।

অপরদিকে থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, যে কোন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কিংবা সাঙ্গু নদীর তীরে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এরইমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় ১৫টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ