খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে চোর সন্দেহে জীবন (২৫) নামে এক যুবককে বাড়ি হতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাত ১১টার দিকে বীরগঞ্জ পৌর শহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের গোডাউন কাম জেনারেটরের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী রতন কুমার সাহা রেন্টুর মিলের গোডাউনে পাম্পের জেনারেটর রুমে বেঁধে রেখে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
নিহত জীবন ইসলাম (২৫) পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ফিসারী এলাকার রোস্তম আলী গাঠু মিস্ত্রির ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে লাইজুর ট্রাক্টরের ব্যাটারি চুরি হয়। এ ঘটনায় জীবন ইসলামকে চোর সন্দেহে গত রবিবার সকাল ৮টার দিকে জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের নাইট গার্ড জাহাঙ্গীর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর রুমে বেঁধে পাম্প মালিক রতন কুমার সাহা রেন্টু ও ট্রাক্টর মালিক বাবুসহ তাদের লোকজন কয়েক দফায় মারধর করে। রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলেই জীবন ইসলাম মারা যান। পরে তারা জীবন ইসলামকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।
হত্যাকাণ্ডে নিহত জীবনের বোন রুকসানা ও প্রদক্ষদর্শী রবিউল ইসলাম জানান, জীবনকে বাড়ি থেকে তুলে এনে বেধড়ক মারপিট করে। তার শরীরে গরম পানি ঢেলেছে এবং সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে পাশবিক নির্যাতন করা হয় বলেও তারা অভিযোগ করেন। এ সময় জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহা রেন্টুর হাত-পা ধরে প্রাণে বাঁচার আকুতি মিনতি করেও রেহাই পায়নি জীবন ইসলাম।
নিহত জীবনের বাবা রোস্তম আলী গাঠু মিস্ত্রী জানান, সকালে গোলাপগঞ্জ রোডের বাতেনের ছেলে বাবু ও নাইট গার্ড জাহাঙ্গীর বাঘাসহ কয়েক জন আমার ছেলে জীবনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখেন তার ছেলে জীবন ইসলামের মৃতদেহ ভ্যানের উপর পড়ে আছে।
হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, খুনিরা জীবন ইসলামকে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এটি অত্যন্ত পাশবিক ও নির্মম হত্যাকাণ্ড। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তিনি নিহতের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা