খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর : দিনাজপুরে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়ে গেছে ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। দাম বাড়ার কারণে মিলারদের দুষছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।
আর মিলাররা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে করপোরেট হাউজগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
একমাস আগেই বোরো মৌসুমের ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। ভরা মৌসুমে চালে পরিপূর্ণ মিলের গুদাম। এর মধ্যেই দাম বেড়ে গেছে দিনাজপুরে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে সব ধরনের চাল প্রতিমণে বেড়েছে ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
দিনাজপুরের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬৮ টাকা, ব্রি-২৯ ৫৫ টাকা, ব্রি-২৮ ৫৮ টাকা, গুটিস্বর্ণ ৫২ টাকা, সুমন স্বর্ণ ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ টাকা, বাসমতি ৮৬ টাকা ও কাটারি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুসপ্তাহ আগেও এসব চালের দাম ছিল মিনিকেট ৬২ টাকা, ব্রি-২৯ ৪৮ টাকা, ব্রি-২৮ ৫৪ টাকা, গুটিস্বর্ণ ৪৮ টাকা, সুমন স্বর্ণ ৪৭ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা, বাসমতি ৭৬ টাকা ও কাটারি ৯৫ টাকা।
হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আবার চালের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান তারা। ক্রেতাদের দাবি, যেভাবে দাম বাড়ছে, কদিন পর চাল কেনাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া।
এদিকে, মিলারদের কাছে পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও বেশিদাম রাখার অভিযোগ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের। তারা বলেন, ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়ে গেছে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা, যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।
আর মিলাররা জানান, করপোরেট হাউজগুলোকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করলে চালের দামও নিয়ন্ত্রণ হবে। দিনাজপুরের চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইকবাল চৌধুরী বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পেরে ওঠে না ছোট ছোট মিল মালিকরা। তাই সরকারকে এদিকে বেশি নজর দিতে হবে। তবেই নাগালে আসবে চালের বাজার।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে অটোমেটিক, হটফ্লু, মেজর রাইস মিল ও হাসকিং মিল রয়েছে ২২শটি। শহরের পুলহাট শিল্প এলাকা থেকে গড়ে দৈনিক দুশতাধিক ট্রাকভর্তি চাল বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা