
প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ৯:০৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
দিনাজপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির মহোৎসব

খান মো. আঃ মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুর জেলা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে আজ জর্জরিত। সাধারণ মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত এ দপ্তরটি বর্তমানে যেন নিজস্ব আইনে পরিচালিত একটি “অঘোষিত সাম্রাজ্যে” রূপ নিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অফিসটির রেকর্ড কিপার মোঃ আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রেকর্ড রুমকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গড়ে তুলেছেন এক দুর্নীতির সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় প্রায় ৯ বছর ধরে পিসি শাখায় কর্মরত ফরিদ দোস্তগীরও অবৈধ আয়ের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাদের প্রভাব এতটাই বিস্তৃত যে, সাধারণ মানুষ জাবেদা ও নকল নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
ভুক্তভোগীরা জানান, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারি রাজস্ব আদায় হলেও কোটিপতি বনে যাচ্ছেন রেকর্ড কিপার আনোয়ার হোসেন ও ফরিদ দোস্তগীর। তাদের ইচ্ছেমতো চলছে অফিসের কার্যক্রম। অনেক সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশও অমান্য করছেন তারা। এতে জাল দলিল তৈরি, জাল স্বাক্ষর সৃষ্টি এবং নানা অনিয়মের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
এমনকি ২০১৬ সালের ২২ জুলাই জাল স্বাক্ষর সৃষ্টির ঘটনায় দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ সাজেদুল হক এক আদেশে কর্মরত নকল নবিস মোঃ নুরুজ্জামান হীরাকে অসদাচরণ ও অফিসের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের কার্যক্রম তখনও থামেনি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন রেকর্ড কিপার ও কিছু প্রভাবশালী কর্মচারীর কারণে পুরো সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে অসহায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হলেও এই অনিয়ম বন্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
প্রশ্ন রয়ে গেছে, সরকারি রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত করে ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে গড়ে ওঠা এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসন কবে ব্যবস্থা নেবে?
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা