মো. ওসমান গনি ইলি, কক্সবাজার: কক্সবাজারে একদিনেই ঘটে গেল দুটি মর্মান্তিক ঘটনা। ট্রেন দুর্ঘটনা ও নদীতে ডুবে প্রাণ হারালেন পাঁচজন। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গত শুক্রবার (২ আগস্ট) রামু উপজেলার রশিদনগর এলাকায় পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চারজন যাত্রী। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের জাফর আলমের দুই কন্যা রেনুয়ারা (৩৮) ও আসমাউল হুসনা (২৬) এবং আসমার ১৮ মাস বয়সী শিশু ছেলে আতাউল্লাহ।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে শোকসন্তপ্ত পরিবারটি পরিদর্শন করেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ইউএনও। তিনি নিহতদের মা-বাবা ও এতিম ৬ শিশুর খোঁজখবর নেন এবং গভীর সমবেদনা জানান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া নিহত রেনুয়ারার সন্তানদের লেখাপড়ায় সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেনুয়ারার চার সন্তান নানা-নানীর আশ্রয়ে থাকবে এবং আসমার দুই শিশু দাদা-দাদীর স্নেহে বড় হবে।
একই দিন সকালে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ২নং ওয়ার্ডে। প্রতিদিনের মতো মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান স্থানীয় বাসিন্দা রমজান মিয়া (৫০)। তেতৈয়াঘাট ব্রিজের পাশে মাছ ধরার সময় জাল ফেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর তাঁর মরদেহ ভেসে উঠে। মৃত্যু সময় পর্যন্ত তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়নি।
ইউএনও রমজান মিয়ার বাড়িতেও গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেন। নিহত রমজান মিয়া এক স্ত্রী, দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন রেখে গেছেন।
এই দুই হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয়দের মুখে মুখে এখন শুধু একটি বাক্য “কিছু শোকের সান্ত্বনা হয় না”
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা