নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে দিন দুপুরে গরু চুরির ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন সেলিনা বেওয়া নামের এক নারী। গত রবিবার রাতে নন্দীগ্রাম থানায় এজাহারটি দায়ের করেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত রবিবার সকাল ১০টার সময় উপজেলার গ্রামধুমা গ্রামের মৃত ছবতুল্যার মেয়ে সেলিনা বেওয়ার ২টি আড়িয়া গরু চুরির ঘটনা ঘটে। যাহার মূল্য ২লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এসময় পাশের গ্রাম কোলদিঘী গ্রামের এক গৃহবধু দেখতে পেয়ে বাধা দিতে গেলে গরুচোর চক্রটি গৃহবধুকে মারধর সহ শ্বাসরোধ করে এবং মৃত্যু হয়েছে জেনে গৃহবধুর গলায় ও কানে থাকা স্বর্নের গহনা সহ ২টি গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে এবং পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাৎক্ষনাৎ অভিযান চালিয়ে ১টি গরু উদ্ধার করেন। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরুচোর চক্র পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরে দুই দিন পর গত ২২শে এপ্রিল এজাহার নামীয় আসামীর বাড়ি থেকে ২য় গরুটি উদ্ধার হয়। আহত গৃহবধুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসার তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলে উক্ত এজাহারটি দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে, ভুক্তভোগী নারী সেলিনা বেওয়া জানান, ঘটনার ১ঘন্টা পর জানতে পারি আমার ২টি গরু চুরি হয়ে গেছে। সেই সাথে চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় এক গৃহবধুকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। তবে ঘটনার দুই দিন পর চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করে দিয়েছে থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে, চুরির ঘটনায় আহত গৃহবধু'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় বাধা দেওয়ায় আমাকে মারধর সহ শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে চক্রটি আমার কানের ও গলার স্বর্নের গহনা সহ ২টি গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে গরু ২টি উদ্ধার হলেও আমার ৮২ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্নের গহনা এখনো উদ্ধার হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্তরা বিগত সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জরিত থাকায় বিভিন্ন নেতাদের ছত্রছায়ায় উপজেলায় এবং বিভিন্ন জেলায় গরুচুরির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বিগত দিনে বিভিন্ন সময় গরু চুরির ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেও অজানা কারনে ছাড়া পেয়ে যায়। এমনকি তাদের নামে মামলাও হয়না। তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দ্বারা সংগঠিত বহু গরু চুরির তথ্য পাওয়া যাবে। সুতরাং অতি দ্রুত তাদের গ্রেফতারের দাবী জানান অভিযুক্তদের গ্রামবাসী।
বিষয়টি নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এজাহারটি প্রাথমিক তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা