ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: পবিত্র মহররম মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অন্তর্গত নয়নপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো শতবর্ষ পুরোনো ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা।
ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতা ও সাংস্কৃতিক চেতনায় ভরপুর এই আয়োজন ঘিরে পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে আয়োজিত এই লাঠিখেলায় অংশ নেয় গ্রামের বিভিন্ন বয়সী যুবকরা। ঢাক-ঢোল, করতাল ও নগাড়ার তালে তালে মাঠে শুরু হয় লাঠির ঝনঝনানি। খেলোয়াড়দের চোখধাঁধানো কৌশল আর নিখুঁত লাঠিচালনায় মুগ্ধ হয়ে যায় শত শত দর্শক। শিশু, কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ—সবাই ভিড় জমান মাঠের চারপাশে। নারী দর্শকদেরও উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
নয়নপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ জানান, এই লাঠিখেলার ঐতিহ্য প্রায় এক শতাব্দীর পুরোনো। এটি কেবল বিনোদনের একটি মাধ্যম নয়; বরং আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবেও একে চর্চা করা হতো এক সময়। একই সঙ্গে ইসলামী সংস্কৃতির একটি প্রতীকী উপস্থাপন হিসেবেও এই খেলা বহু বছর ধরে চলে আসছে।
বিশেষ করে মহররম মাসে এই খেলার আয়োজন করে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগ, সাহস ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা তুলে ধরতেন গ্রামবাসীরা।
একজন আয়োজক বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা মহররমের তাৎপর্য বোঝাতে এই লাঠিখেলার আয়োজন করতেন। আমরা সেই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতি বছর এটি আয়োজন করি। এবার নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে খেলার রূপ আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়েছে।”
পবিত্র মহররমের দিনে এমন আয়োজন গ্রামীণ সমাজে ধর্মীয় আবেগ, ইতিহাসের চেতনা ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। নতুন প্রজন্মের কাছে তা হয়ে ওঠে ইতিহাস জানার ও শিকড়ের সাথে সংযুক্ত থাকার একটি সুযোগ।
এই ধরনের আয়োজনে যেমন ইসলামী সংস্কৃতির চর্চা হয়, তেমনি হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীণ ক্রীড়া ও লোকজ ঐতিহ্যও ফিরে পায় প্রাণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা