নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : নরসিংদী রায়পুরা মরজালে ৩ যুবকের ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। একই গ্রামের এক যুবক উক্ত ঘটনায় প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ৩ যুবকের মধ্যে ১ জনের নাম রবিন, সে রাজাবাড়ী গ্রামের মৃত মোর্শেদ ভেন্ডারের ছেলে।
জানা গেছে, এই ৩ ব্যক্তি মরজাল ইউনিয়নের যুব সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় থেকে ইয়াবা এনে। রাতের আধারে বিভিন্ন অলি-গলিতে বসে প্রকাশ্যে ইয়াবা সেবন করে তারা। এদেরকে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন আটক করে মামলা দিলেও তারা পুনরায় জামিনে বের হয়ে এসে আবার পুরনো পেশায় ফিরে আসে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
মরজাল এলাকার বাসিন্দা মোঃ কাশেম মিয়া সংবাদকর্মী রনিকে বলেন, এরা প্রকৃত অর্থে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। এলাকার কোমলমতি যুবকদেরকে তারা ফুসলিয়ে ইয়াবা সেবন করায়। তারা এতই প্রতাপশালী তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তারা উল্টো যারা প্রতিবাদ করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় ও ভয়-ভীতি দেখায়।
এদিকে মরজাল এলাকার এক প্রতাপশালী সাংবাদিক রুদ্র সাহেবের নিকট এই ইয়াবা সেবন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। কতটুকু সত্য সেটা আমি জানি না। যেহেতু আমার নিজস্ব এলাকা। এই বিষয়ে অভিযোগ আসলে আমার উপরে দায় আসে। তাই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে যথাযথ রিপোর্ট করতে পারেন এ বিষয়ে আমার কোন আপত্তি নাই।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানায় পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ কনস্টেবল সংবাদকর্মীদের জানান, এ বিষয়টি আমি জানি না। মরজাল ইউনিয়নের দায়িত্বে আছেন হালিম স্যার ও সোহেল স্যার। তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। প্রকৃত সত্য ঘটনা জানতে পারেন। পরবর্তীতে থানায় এসে স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।
বটিয়ারা এলাকার এক নারী কুলসুম বেগম সংবাদকর্মী রনিকে বলেন, আজগর আলীরটেকসহ পুরো বটিয়ারায় এখন মাদকের ছড়াছড়ি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে এমন মারা হয় তারা ভয়-ভীতি পেয়ে এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করে না। অথচ যারা মাদক সেবন করে ও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে সে এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ প্রতিবাদ করায় সে এখন বাড়ি ছাড়া। তাই আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে প্রতিবাদী ব্যক্তি হিমেলের নিকট যোগাযোগ করলে একাধিকবার তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। খোজ নিয়ে জানা যায় হিমেলের বাড়ির পাশে একটি মাচায় উক্ত অভিযুক্ত ০৩ ব্যক্তি ইয়াবা সেবন করছিল রাত প্রায় ১২টার দিকে। হিমেল উক্ত ঘটনায় প্রতিবাদ করায় ইয়াবা সেবনকারী ০৩ ব্যক্তি উল্টো হিমেলের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে দেয়।
এদিকে নরসিংদী জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সালাম জানান, প্রকৃত অর্থে ইয়াবা সেবনকারীদের বিরুদ্ধে সরকার যে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে তা প্রশংসনীয়। তবুও থামছে না ইয়াবা সেবনকারীদের দৌরাত্ব। তাই পুলিশ প্রশাসন বাড়তি নজরদারি আনলে এবং সামাজিক মূল্যবোধ ফিরে আসলে ইয়াবা সেবনকারীদের সংখ্যা কমে যাবে বলে আমি আশা করি।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, প্রকৃত অর্থে মাদকের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে তাদের পাশে প্রশাসন থাকা উচিত। নাহলে একদিন প্রতিবাদ করা ব্যক্তিও সমাজে সংকট পড়বে। তাই উক্ত ঘটনাটি দ্রুতই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা