যায়যায়কাল প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান ঢাকার একটি হাসপাতালে আট দিন ধরে চিকিৎসাধীন। প্রথমে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। এরপর তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
সোমবার দুপুরে অঞ্জনা রহমানের ২৪ বছর বয়সী ছেলে নিশাত রহমান বলেন, ‘জন্মের পর আম্মুকে এভাবে হাসপাতালে দেখিনি। কোনো দিন যে অসুস্থ হয়েছেন, এটাও মনে পড়ছে না।’
নিশাত রহমানের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, মা অঞ্জনার অসুস্থতার কথা বলে তখন কাঁদছিলেন তিনি।
নিশাত বললেন, ‘আট দিন ধরে আম্মু হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও ১৫ দিন ধরে তিনি অসুস্থ। শুরুতে জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। এরপর আবার জ্বর চলে যেত। কিন্তু একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। জ্বর কোনোভাবেই সারছিল না। পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে জানা যায় আম্মুর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে আম্মুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম দুদিন পরিস্থিতি ভালো ছিল না। আইসিইউতে দুদিন রাখার পর সিসিইউতে আনা হয়েছে। গতকাল চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন আম্মুকে। আমার আম্মু ভীষণ দুর্বল হয়ে গেছেন। তাকে এভাবে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে ভালো লাগছে না। কষ্ট হচ্ছে।’
নিশাত রহমান বললেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন রক্তের সংক্রমণ কমে এসেছে। তবে শারীরিকভাবে আম্মু প্রচণ্ড দুর্বল। স্বাভাবিক খাবারদাবার শুরু করেছেন।
চিত্রনায়িকা অঞ্জনার ছেলে জানান, তার মায়ের অসুস্থতার খবর কাউকে জানাতে চাননি। তিনি বলেন, ‘আম্মু ভেবেছিলেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। অযথা নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে কাউকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে চাননি। কিন্তু এত দিন ধরে তো তার মতো শিল্পীর অসুস্থতার কথা লুকিয়ে রাখা যায় না।’
অভিনেত্রী অঞ্জনার এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেই মায়ের সঙ্গে আছেন। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে তার শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা