মোহাম্মদ মনির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার রাজধানীর নিউ মার্কেট থানা সংলগ্ন গাউসুল আজম মার্কেট ও বাণিজ্য বিতানের দোকানসহ মার্কেট সংলগ্ন লেগুনাস্ট্যান্ড দখল করেছেন খান মনির বাহিনী ।
এমনকি নীলক্ষেত মোড় থেকে বলাকা হল পর্যন্ত ফুতপাতের হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তুলছেন খান মনিরের সহযোগী জিতু, জুয়েল, জয়নাল, খোকন।
গ্রামের বাড়ি বরগুনায় হলেও ঢাকার বস্তিতে থেকে বড় হওয়া খান মনির এককালে ‘জাওরা মনির’ নামে পরিচিত ছিলেন। ফেনসিডিল ব্যবসা, ছিনতাই ও মাদক কারবারির সাথে জড়িত থাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য নাম পরিবর্তন করে বনে গেছেন খান মনির।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরই ফুলে ফেঁপে উঠেছেন খান মনিরের বাহিনী।
সেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙিয়ে নিউ মার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় চাঁদাবাজির ‘রাজত্ব’ বিস্তার করছেন মনিরের বাহিনী। এমনকি মূল দলের নেতাদেরও পাত্তা দেন না মনির বাহিনী।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনির বাহিনী গাউসুল আজম মার্কেটর দোতলায় পশ্চিমের শেষ প্রান্তে হাবুর থ্রি পিছের কারখানার দুই পাশে দুইটি দোকান দখল করে তালা লাগিয়ে রেখেছেন। এবং বাণিজ্য বিতান মার্কেটের দোতলায় বড় একটি দোকান দখল করে রেখেছেন মনির। সেখানে তিনি সকল গোপন মিটিং করেন।
আরও খোঁজ পাওয়া গেছে, অবৈধ পন্থায় উপার্জনের টাকার আরেকটি উৎস বই মার্কেটের আসল বইকে নকল করেন এই খান মনির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মনির নকল বই বানিয়ে দোকানদারের কাছে বিক্রির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সময়ে বিপ্লব সরকার চাঁদা উত্তোলন করতেন খান মনিরের আপন ছোট ভাই খান রুবেল। এখনো সকল চাঁদার দায়িত্ব নেন খান মনির। যার একটি অংশ পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের দোসর বিপ্লব সরকারের কাছে।
ফোনে যোগাযোগ করলে খান মনির যায়যায়কালকে বলেন, তিনি সেচ্ছাসেবক দলের নিউ মাকেট থানার সভাপতি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের (আওয়ামী লীগ) আমলে দখলে থাকা সব দোকান তিনি দখলে নিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা