মো. রবিউল ইসলাম, বান্দরবান: পাহাড়ে সংঘাত ও একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বান্দরবানে পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির বিরূপ প্রভাব পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যবসায়। ফলে বান্দরবান জেলা সদর, রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে, আলীকদমে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে এখানে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে পর্যটকের সংখ্যা। এক সময় পর্যটকের ভিড়ে হোটেল-মোটেলে রুম পাওয়া ছিল কষ্টকর। এখন সেখানে পর্যটক খরায় দিনের পর দিন রুম খালি পড়ে থাকে। শুধু হোটেল-মোটেল নয়, এর প্রভাব পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়ে।
হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, জেলা শহর ও শহরতলিতে ৭০টি সহ রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি, আলীকদম উপজেলায় শতাধিক হোটেল-মোটেল ও অবকাশকেন্দ্র আছে। পর্যটনের বিরূপ প্রভাবে হোটেল-মোটেলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রায় ১ হাজার কর্মচারী, ৩০০ জন ট্যুরিস্ট গাইড, ৭ শতাধিক গাড়িচালক, ২০০ জন যন্ত্রচালিত নৌকাচালক সরাসারি বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রত্যেক পর্যটকের বিপরীতে স্থানীয় ১১টি খাতে সম্পৃক্ত মানুষ পর্যটনে সরাসরি আয়ের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন। সেই হিসেবে পর্যটন খাতে ৬৬ হাজার মানুষের রোজগারে ভাটা পড়েছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে জরুরি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক চলমান থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা