মহাসিন মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে বারবার উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই শিশুর চাচাতো ভাই হাসিব প্যাদা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসিব প্যাদা ওই শিশুরটির সাথে একই আচরণ করতে শুরু করে। এমন সময় শিশুটির মা রেকসনা বেগম ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ জানায়। আর এই প্রতিবাদ জানানোই কাল হয় তাদের পরিবারে জন্য। একই দিন বাড়ি ফেরার পথে উত্ত্যক্তকারী হাসিব প্যাদা, তার বাবা জসিম প্যাদা সহ ছয় থেকে সাত জনের একটি দল মিলে শিশুটির বড় ভাই শাহজাদা, তার মা রেকসনা বেগমের উপরে লাঠিসোটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় রেকসনা ও তার ছেলে শাহাজাদা গুরুতর আহত হলে তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও তাদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. মানিক প্যাদা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন ভাঙ্গারি ফেরিওয়ালা। এই কাজ করেই আমার পরিবারের ভরণ-পোষণ করি। আমার সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি ও আমার চাচাতো মামা জসিম প্যাদা তার ভাইয়েরা, তার ছেলে হাসিব প্যাদা ও আমি আমার স্ত্রী সন্তান নিয়া একই বাড়ির পাশাপাশি ঘরে বসবাস করি। একই বাড়িতে থাকার কারণে বাড়ির বিভিন্ন বিষয়ে তারা আমাদের শত্রু মনে করে। এ ঘটনার রেশ ধরে হাসিব প্যাদা আমার নাবালিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের খারাপ ভাষা ব্যবহার ও অশ্লীল আচরণ করে আসছে হাসিব। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসিব আমার মেয়ের সাথে ওই একই আচরণ করে। আমার স্ত্রী ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবাদ জানায়। আর এরপরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে আমার ছেলে শাহাজাদা ও আমার স্ত্রীকে রাস্তার মধ্যে আটকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এসময় মোঃ জসিম প্যাদা আমার স্ত্রীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। আমার ছেলের হাত ভেঙে ফেলে। এসময় রিয়াজ প্যাদা, হাসিনা বেগম ও মো. সোহেল আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন যার মূল্য আনুমানিক ৭২,০০০/- টাকা তার কানে থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্নের কানবালা যার মূল্য অনুমান ৫০,০০০/- টাকা ও আমার ছেলের জামার পকেটে থাকা ৫০০০/- টাকা নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী ও ছেলে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমি এ ঘটনায় সাত জনকে আসামি করে পটুয়াখালী থানায় মামলা করেছি। কিন্তু সকল আসামিরা বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটছে। আমাদের হুমকি-ধমকিও দিচ্ছে প্রায়ই। কিন্তু মামলার পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বর্তমানে আমি আমার সন্তানদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমার দাবি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মামলা গ্রহণ করেছি। প্রথমে মামলাটির দায়িত্বে যেই অফিসার ছিলেন তাকে নিয়ে মামলা দায়েরকারীর একটু আপত্তি থাকায় মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। বাদি-বিবাদিরা একই বাড়ির। তবে যে অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা