শাহ্ সোহানুর রহমান, রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল গেট ও বহির্বিভাগে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম বিপাকে পড়েছেন এবং পানিবাহিত রোগের আতঙ্কে ভুগছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেট ও বহির্বিভাগের সামনে বৃষ্টির নোংরা পানি জমে আছে। এর সঙ্গে মিশে গেছে হাসপাতালের ড্রেনের দূষিত পানি। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, মহিলা ওয়ার্ডের টয়লেটের মল-মূত্র নিষ্কাশনের পাইপ ফেটে গিয়ে সেই পানিও এই জলাবদ্ধতার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হেঁটে যাতায়াত করতে বাধ্য হওয়ায় রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
একাধিক রোগী ও স্বজনরা জানান, হাসপাতালের বাইরে ওষুধ কিনতে গিয়ে তাদের এই নোংরা পানির মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে। এর ফলে অনেকের পায়ে চুলকানি ও ফোঁড়ার মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তারা বলেন, “আমরা এখন খুবই আতঙ্কিত, এই পানি থেকে না জানি কী ধরনের রোগ হয়।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা স্থানীয়রা জানান, শুধু পুঠিয়াই নয়, আশেপাশের অনেক উপজেলা থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্নয়নের জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ এলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে তার সঠিক ব্যবহার হয় না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, “ভারী বৃষ্টি হলে আমাদের নিজেদেরও হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে অসুবিধা হয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির উদাসীনতার কারণে সেগুলো পরিষ্কার করা হয় না। ময়লা-আবর্জনা জমে ড্রেনের পথ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলস্বরূপ এই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। আমরা এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান চাই।”
এদিকে, এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা