শুক্রবার, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

, এর সর্বশেষ সংবাদ

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন আটক

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

তাদের মধ্যে মামুনকে গুলি করা দুই ‘শুটার’ রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল ও কয়েকটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ফারুক ওরফে কুত্তা ফারুক ও রবিন ১০টি গুলি চালিয়ে মামুনকে হত্যা করেছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যে এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সন্ত্রাসীদের কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের মধ্যে রনি ওরফে ভাইগ্না রনি, ফারুক ওরফে কুত্তা ফারুক, কামাল, জসিম, ইসহাক, রয়েল, ইব্রাহীম ও রুবেল অন্যতম। এদের কেউ সরাসরি গুলি করেছেন, আবার কেউ সহযোগী হিসেবে ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, এসব পেশাদার সন্ত্রাসী মোহাম্মদপুর, বছিলা, হাজারীবাগ ও পুরান ঢাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন শীর্ষ সন্ত্রাসীর হয়ে ভাড়ায় অপরাধমূলক কাজে অংশ নেন। এর মধ্যে হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হিসেবে সন্দেহভাজন যেসব ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, তারা মোহাম্মদপুর এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের হয়ে কাজ করে বলে অপরাধ জগতে আলোচনা আছে। যদিও নিহত মামুনের পরিবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ হত্যাকাণ্ডে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে সন্দেহ করে বলে গণমাধ্যমকে বলেছিল।

গত সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ফটকের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে।

তিনি আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বের হচ্ছিলেন তখন। নিকটস্থ সিসিটিভির এক ফুটেজে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তখন দুই ব্যক্তি খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করছেন।

 

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *