মামুন-উর-রশীদ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময় আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনে ১৫ বছরের দলবাজ আমলাদেরকে পরিস্কার করে তারপরে নির্বাচন দিতে হবে। তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই। দেশ সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন চাই।
সোমবার বিকাল ৩টায় কুড়িগ্রাম পৌর টাউন হলে এই মতবিনিময় সভা শুরু হয়।
তিনি কুড়িগ্রামবাসীর উদ্দেশ্য বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিবিপ্লব ঘটনার চেষ্টা করলে আমরা আবারো রক্ত দিয়ে তাদের প্রতিহত করবো। আমাদের গর্ব এই অঞ্চলের সন্তান শহীদ আবু সাইদ। যার আত্মত্যাগ আজ সারা বিশ্ববাসী স্মরণ করছে।’
আওয়ামীলীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে বছরের পর বছর জেলে বন্দি করে রেখেছে। শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে সেই অপরাধের দায়ে তার একশতবার ফাঁসি দেয়া যেতে পারে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর কোন প্রয়োজন নেই। তারা ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমাদের ছাত্ররা শহীদী তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে জালিমের যুলুম থেকে দেশকে স্বাধীন করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা মাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী।
অনুষ্ঠানে শহীদ সাইদুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, আব্দুর রশিদ ও আমীর হোসেনের পরিবারের অভিভাকদের সাথে মতবিনিময় করা হয়।