
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ও সংবাদকর্মী সাজ্জাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টা মামলার এক নম্বর আসামি সজিব মিয়া। নাম পরিবর্তন করে মো: আরমানুল ইসলাম হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ফরিদপুর জেলা সমন্বয় কমিটিতে পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সজিব মিয়ার ব্যবহৃত 01712345923 মোবাইল নম্বরে দেখা যাচ্ছে দুইজনের নাম একটাই।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেনকে প্রথম থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ফরিদপুরে নানান অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। গভীর রাতেও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে, কখনো নিজে একা গিয়ে অন্যায়, অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন। এ কারণে কয়েক মাস আগে তার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়। তিনি এ ঘটনায় ফরিদপুর সদর থানায় মামলা করেছেন। যার এক নম্বর আসামি সজিব মিয়া।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত সজীব মিয়ার নাম এনএসআইয়ের রিপোর্টে পর্যন্ত আছে। তিনি এখন এনসিপি নেতা। নাম পরিবর্তন করার বিষয়টি ফরিদপুরের এনসিপির আহবায়ক দোলা এবং অন্যদের জানানোর পরও তাকে বহাল রেখেছেন।
জানা যায়, ফরিদপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এখন তিনি পলাতক এবং ঢাকায় থাকেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির প্রধান কার্যালয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন বড় পদের জন্য।
ফরিদপুর এনসিপির আহবায়ক দোলার প্রশ্রয়ে এবং কেন্দ্রীয় বড় পদের জন্য তদবির করতেছে। দোলার মা ফরিদপুর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ছিলেন এবং তার মামা গোলাম নাসির শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। তাদের কাছের লোক হওয়ার জন্য সজীবকে এই বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। এর জন্য ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বেশিরভাগই তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত। সাথে সাথে এনসিপির কর্মীরা। কারণ তারা এই পর্যন্ত যা যা করে এসেছেন প্রথম থেকে দলের জন্য। হঠাৎ করে নতুন একজন এসে যে নাকি তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে তাকেই তাদের নেতা বানাতে চাচ্ছে। ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধারা ও এনসিপির নেতাকর্মীরাই এখন বৈষম্যের শিকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা