নীলফামারী প্রতিনিধি : গ্রীষ্মের রুক্ষতাকে ছাপিয়ে গাছে গাছে ফুটেছে রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। সবুজের ঝুঁপে নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে বসুন্ধরায়। এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রেমী সববয়সী মানুষেরা। এই ফুলের অপরুপ দৃশ্য যে কারো চোখ ও হৃদয়ে এনে দিতে পারে দ্যোৎনা।
গেল বসন্ত কালের প্রায় শেষ মুহুর্ত থেকে জলঢাকা উপজেলার জলঢাকা সরকারি ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়,জলঢাকা ডাক বাংলা চত্বর,জলঢাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস প্রাঙ্গনে, ডালিয়া রোড বটতলা,টেংগনমারি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, মীরগঞ্জ হাট প্রাঙ্গনে, পূর্ব কাঁঠালী সরকার পাড়াসহ বিভিন্ন বাসা বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে শুরু করে জনপথের আশপাশে ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বসত বাড়ী এমনকি হাট-বাজার নদীর পাড়ে বেড়ে ওঠা কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো ডালপালার সুবুজ পাতার ঝুঁপে থোকায় থোকায় রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল ফটিয়ে প্রকৃতিকে অপররূপ সাঁজে সাজিয়েছে।
চলন্ত বৈশাখ মাসে কৃষ্ণচূড়ার গাছে গাছে সবুজের সমারোহে অগ্নিপূলক রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল যে কারো চোখ ও মন হরণ করছে। ফুটন্ত ফুলের ভাড়ে মগডাল গুলো নূয়ে পড়েছে। প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর ফুলের জৌলুস। ময়ূর যেন তার রাঙা পেখম মেলেছে সর্বত্র। পথচলা অনেক ফুল প্রেমী পথিক গাছের অদূরে দাড়িয়ে থেকে ফুলের সুবাস নিচ্ছেন আর আকুল নয়নে দেখছেন। আবার অনেকে সহপাঠীদের নিয়ে এই গাছের ছায়ায় বসে ফুলের সৌন্দর্য অনুভব করার পাশাপাশি সুবাস নিচ্ছেন আর ফটোপ্রেমে বন্ধী হচ্ছেন।
বনবিভাগ কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদ এর ভাষ্য মতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের জাত মুলত ৩ প্রকারের। বেশির ভাগ মানুষ এর নাম কৃষ্ণচূড়া জানলেও এই ফুলের আরেক নাম গুলমোহন। এই নামটি সচারাচর শোনা যায়না। জাত অনুসারে ফুলের রংয়ের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। কোনো কোনো ফুলের রং গারলাল, হালকা লাল ও হলদে রংয়ের হয়ে থাকে। তাইতো কবির ভাষায় বলতে হয় "সবুজ বনায়নে ফুলে- ফলে ভরা ছয় ঋতুর দেশ, সবুজ শ্যামলী রূপের রানী আমার বাংলাদেশ ।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা