গাইবান্ধা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির মাথার উপর কালোমেঘ হয়ে দাঁড়িয়েছে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাক শাহাদৎ আলী সাহাজুল।

জাতীয় পাটি থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর থেকে কতিপয় জেলার নেতাকে ম্যানেজ করে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক ও পরে সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।

জাতীয় পাটি থেকে বিএনপিতে আসা নেতা-কর্মীদের সাথে নিয় দলের মধ্যে শুরু করেছে গ্রুপিং দ্বন্দ। গত ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শুরু করেছে চাঁদাবাজি দখলবাজি। সাহাজুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে এখন চাাঁবাজি দখলবাজিসহ ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলা। শুধু তাই নয় সাহাজুল বাহিনীর চাাঁবাজির হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিএনপি ঘরোনার মানুষসহ ছাত্রদলের সাবেক নেতা-কর্মীরাও। সাহাজুলকে চাঁদা না দেয়ায় বিষ্ফোরক মামলার আসামী হয়ে ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে বিএনপির কর্মীসহ ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী, সংখ্যালঘু জনগণ এবং শিক্ষককেরাও। সাহাজুলের দেয়া মিথ্যা মামলার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের মধ্যে সাহাজুলের বাড়ী হওয়ায় কোন কথা বলার সাথে সাথে চকচকার একটি বাহিনী এসে দোকানের সামনে দাঁড়ায়।তাদের ভয় কেউ কাঁচাবাজার করতে সাহস পাচ্ছেন না।

জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারী ফুলবাড়ী থানায় বিস্ফোরক মামলার আসামী করা হয়েছে বিএনপির কর্মী ও পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকারিয়ার ছেলে আনোয়ারুল হককে। একই (বিষ্ফোরক) মামলার আসামী করা হয়েছে ছাত্রদলের সাবেক নেতা বর্তমানে সরকারী চাকুরীজীবি গোলাম কিবরিয়া, সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক নজিবর রহমান, বিএম ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ সালেহ আহম্মেদ তুহিন ও অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী মাসুদ রানাকে।

ভুক্তভোগী বিএনপির কর্মী ও হামিদপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকারিয়ার ছেলে আনোয়ারুল হক অভিযোগ করে বলেন, শাহাদৎ আলী সাহাজুলের সহযোগী ও পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিলের ভাই নুর আলম নুরুল্লার সাথে বিরোধ থাকায় তাকে এই বিষ্ফোরক মামলার আসামী করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সাহাজুলের ছোট ভাই মানিক মন্ডলের বিপক্ষে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্বিতা করায় বিষ্ফোরক মামলার আসামী করা হয়েছে অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী মাসুদ রানাকেও।

সন্ত্রাসী শাহাদাৎ হোসেন সাহাজুল ও তার আত্মীয় স্বজনের নানা দুর্নীতির বিষয়ে জানতে ফুলবাড়ী থানার ওসি একেএম খন্দকার মহিব্বুলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আসামী যাকেই করা হোক মামলা তদন্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জসীট) দাখিল করা হবে।