আরাফাত খাঁন, বান্দরবান: গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন,সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শীর্ষ নেতারাও অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেউ কেউ দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন। নেতাদের মধ্যে এখনও যারা দেশে অবস্থান করছেন,তাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে,এমন অবস্থায় গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ চরম পরিস্থিতিতে।
এই পরিস্থিতিতে বান্দরবান জেলার অন্যতম প্রভাবশালী নেতাগণ -অভ্যুত্থানে আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর।একাদিক মামলায় আসামি হয়ে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান,বান্দরবান শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারী অমল কান্তি দাশ।
আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় না থাকলেও,আত্মগোপনে থেকে দোসরদের মাধ্যমে নিজের সম্পদ ও ঠিকাদারের কাজ গুলো তদারকি করছেন বান্দরবান জেলা আ:লীগের শীর্ষ নেতা অমল কান্তি দাশ।আওয়ামিলীগ সরকারের পতন ঘটলেও বহালতবিয়তে এই নেতা। গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে বুর্জোয়ার ভূমিকা ছিলেন তিনি।
প্রভাব বিস্তার করে দখলে নিয়ে ছিলেন সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান। নাম মাত্র টেন্ডারের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি),সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের বড় বড় কাজ গুলো নিজে ভাগিয়ে নিতেন। ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস পেত না। অল্প সময়ের ব্যবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ,ভূমিদস্যুতা, সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্যসহ ক্ষমতার বলয়ে আধিপত্য বিস্তার করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
একাদিক সূত্রের তথ্য মতে,আওয়ামিলীগ সরকারের ১৫ বছর বান্দরবান জেলার যাবতীয় ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণে গড়ে তুলেন নিজস্ব বলয়ের সিন্ডিকেট। কিছু সুবিধাভোগী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঠিকাদারদের লাইসেন্স ব্যবহার করে আওয়ামিলীগের আমলে শত শত কোটি টাকার উন্নয়নমূলক টেন্ডার হাতিয়ে নিয়েছেন। একচ্ছত্র অধিপত্যে বিস্তার করে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লাইসেন্স ব্যবহার করে,শত কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গড়ে তুলেছেন সাম্রাজ্য।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, বান্দরবান জেলা শহরে অমল কান্তি দাশের রয়েছে একাধি বহুতল ভবন। পৌর শহরের নিউগুলশান এলাকায় নিজে বসবাসের জন্য নির্মাণ করেছে ৫ তলা বাড়ি। পৌরসভার রাজারমাট এলাকায় সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়ির পাশে দৃষ্টিনন্দ বহুতল ভবন। রয়েছে পৌরসভার কালাঘাটায় বাড়ি করার মত জমি এবং একটি বাড়ি। পৌরসভার ইসলামপুর অফিসার ক্লাবের সামনের অত্যাধুনিক হোটেল হিলটনে ৫০ শতাংশ শেয়ার, সদর উপজেলার হোটেল হিল কুইন, ৬০ শতংশ শেয়ার এবং বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে রয়েছে জমি। অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, বান্দরবান জেলায়আনুমানিক শতকোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছে অমল কান্তি দাশ।
অমল দাশের ম্যানেজার রাহুল জানান,অমল বাবু কোথায় আছেন আমি জানিনা, আমার সাথে যোগাযোগ নাই। বিদেশে চলে গেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন মনে হয় বিদেশে চলে গেছেন। বর্তমানে চলমান কাজ গুলো কে দেখাশোনা করছেন? এমন প্রশ্নের তিনি বলেন ঠিকাদার ইউটি মং মারমা দেখাশোনা করছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা