নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সবসময়ই ঢাকা মহানগরের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় এখানে। উত্তরে ২৬টি থানা, ৬৪টি ওয়ার্ড এবং ৮০২টি ইউনিট নিয়ে গঠিত। তাই মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। যেকোনো কমিটি করা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। সম্প্রতি এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা-১৮ ও ১৪ আসনের উপনির্বাচনে আমরা পুরোদমে কাজ করি। এরপর প্রতিটি ইউনিটকে সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেই। করোনার সময় আমরা দলীয় সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ ও সহযোগিতায় খাদ্য ও ত্রাণ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পুরোদমে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছি। প্রথমেই প্রতিটি ইউনিটে সদস্য সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন করি। দ্রুত সম্মেলন ও কমিটি করতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী আসনভিত্তিক সাংগঠনিক টিম গঠন করি। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৬৪টি ওয়ার্ডে ইউনিট কমিটি গঠনের জন্য মহানগরের নেতা ও থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে যুক্ত করি। ২৬টি টিম গঠন করা হয়। তারা পুরোদমে কাজ শুরু করেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ইউনিট সম্মেলন প্রায় শেষ করে এনেছি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৮০২টি ইউনিটেই সম্মেলন শেষ হয়েছে। এসব ইউনিটেও ৩৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সর্বমোট দলীয় পদ পেয়েছেন ২৯ হাজার ৬৭৪ জন।

ঢাকা মহানগর উত্তরে এবারই প্রথম সম্মেলনের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক ইউনিট কমিটি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম ও নির্বাচনে এই ইউনিট কমিটিগুলো মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা না করে, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ৩৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দিয়েছি। থানা ও ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, লাশ ফেলে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চায়। ওদের নৈরাজ্যের জবাব দিতে হবে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এসব কমিটির নেতাকর্মীরা রাজপথ দখলে রাখবে এবং বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের জবাব দিতে মাঠে থাকবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ।

তিনি নিজের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। রাজনৈতিক জীবনে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি।

২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৯ সালে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আছি। আজীবন বঙ্গবন্ধুকন্যার আস্থা ধরে রেখে কাজ করে যেতে চাই।

উল্লেখ্য, এস এম মান্নান কচি ১৯৮৩-৮৪ সালে বৃহত্তম মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ আগের কমিটির এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাকদ ছিলেন। এছাড়া তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এবং পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি।