শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিনা পারিশ্রমিকে মসজিদ মাদ্রাসার কাজ করছেন একদল তরুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিনা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় বৈদ্যতিক ওয়ারিংয়ের কাজ করে যাচ্ছেন মানবাকি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। তাদের এ কাজে মসজিদ-মাদ্রাসা কমিটির লোকজন ও স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছে। অন্যের বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের ফাঁকে মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিনামূল্যে ইলেকট্রিক ওয়ারিং এর কাজ করেন যুবক ইমন হোসন ও তার সহযোগিরা। বয়সে তারা সবাই তরুণ।

এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলার ৫৪ মসজিদ ও মাদ্রাসায় পারিশ্রমিক ছাড়াই এ কাজ করেছেন। ২০২১ সাল থেকে এ কাজের যাত্রা শুরু করে তরুণরা। তারা তাদের সংগঠনের নাম দিয়েছে মানবিক ফাউন্ডেশন। আর এখানে কাজ করছেন ৬ জন স্বেচ্ছাসেবী।

সর্বশেষ সোমবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের হাসিল মধ্যে পাড়া মসজিদে ওয়ারিং এর কাজ করেছে সংগঠনটির সদস্যরা। প্রথমে প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান ইমন এ কাজের উদ্যোগ নেন।

মানবিক ফাউন্ডেশনের সদস্য শাকিল খান জানান, আমরা সওয়াবের জন্যে কাজ করি। এজন্য কোনো পারিশ্রমিক নেই না। বরং নিজের পকেটের টাকা খরচ হয়। মসজিদ ও মাদ্রাসার বিনামূল্যে ইলেকট্রিক ওয়ারিং করার জন্যে আমাদের মানবিক ফাউন্ডেশন নামে সংগঠনও খোলা আছে। আরেক সদস্য ইসলাম খান বলেন, আমাদের নিজেদের কাজের ফাঁকে আমরা এ কাজটি করি। এখন পর্যন্ত আমরা ৫৪ টি মসজিদ ও মাদ্রাসার কাজ করেছি। মসজিদ ও মাদ্রাসার কাজের দায়িত্ব আমাদের সবার আছে। নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের এ উদ্যোগ।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান ইমন জানান, যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ওয়ারিংয়ের কাজ বিনা পারিশ্রমিকে করে যাবেন। তিনি আরো জানান, আমরা তিন বছর যাবত মসজিদ ও মাদ্রাসার ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারিং এর কাজ বিনামূল্যে করে আসছি । সিরাজগঞ্জ জেলার প্রত্যক উপজলোতে আমাদের এ কাজ চলমান আছে । দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। এখানে সবাই স্বেচ্ছায় এবং আখেরাতের উদ্দেশ্যে কাজ করেন।

এদিকে জেলা-উপজেলা সর্বত্র মানবিক ফাউন্ডেশনের নাম ছড়িয়ে পড়েছে তাদের এই মহানুভতা ও সামাজিক কাজ করার কারনে। এ বিষয়ে সাঈদী হাসান সাগর ওই কাজের প্রতি সমর্থন ও সাধুবাদ জানিয়ে ভূয়সি প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে সংগঠনটির ভবিষ্যৎ আরও সাফল্য কামনা করেন। অপরদিকে ইমন হোসেনের এমন উদার মানসিকতার সরকারি ও সামাজিক সহযোগিতা করা হলে সমাজে আরো অনেকেই এমন সামাজিক কাজে এগিয়ে আসতে উৎসাহ পাবে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ