রানা সরদার, নওগাঁ : নওগাঁয় ডেনিস কোম্পানির ২টি ফান ওয়েফার বিস্কুট খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে খাদিজা (৬) ও তাবাসসুম (৮ মাস) নামে সহোদর ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় মইন ইসলাম (১৬) নামে আরও এক কিশোর অসুস্থ। তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলার দোগাছী স্কুলপাড়া গ্রামে। মৃত খাদিজা ও তাবাসসুম ওই গ্রামের জহুরুলের মেয়ে। আর অসুস্থ মইন একই গ্রামের পাইলটের ছেলে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে বিস্কুট বিক্রেতা কামরুজ্জামান (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শিশু দুটির মৃত্যুর ঘটনায় মামলার পর বিক্রেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি এদিন বিকেলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক।
শিশুর চাচা শাহজাহান জানান, ঘটনার দিন দুপুর দেড়টার দিকে খাদিজা, তাবাসসুম ও মইন বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে বিস্কুট কিনে খায়। এর কিছু পরই তারা লাগাতার বমি করতে থাকে। অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৮ মাস বয়সী তাবাসসুমকে মৃত ঘোষণা করেন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য খাদিজাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। ফলে পরিবারসহ এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সূত্রে জানা যায়, ডেনিস কোম্পানির ২ফান ওয়েফার বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ হয় দুই সহোদর শিশুসহ এক কিশোর। এতে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হতে পারে ধারণা করছেন অনেকে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ওসি জাহিদুল হক বলেন, বিস্কুট খাওযার পর অসুস্থ হয়ে শিশু দুটির মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার সকালে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ওই দুই সহোদর শিশুর বাবা। আর মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে বিস্কুট বিক্রেতা কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অপর কিশোর মইন ইসলাম এখনও চিকিৎসাধীন আছেন বলে নিশ্চিত করেন থানার এই কর্মকর্তা। আর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু দুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা