যায়যায় কাল প্রতিবেদক : চার বছরে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক ছেড়েছেন আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা; যাদের বেশির ভাগকে পদত্যাগে ‘বাধ্য করা হয়েছে’ বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি থেকে বাদ দেওয়া কর্মকর্তাদের এই সংখ্যা ‘অবিশ্বাস্য রকম বেশি’।
এমন পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ব্র্যাক ব্যাংকে ভবিষ্যতে ব্যাপক চাকরিচ্যুতি রোধে ‘নিয়মিত তদারকি ও নির্দেশনা’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া জোরপূর্বক চাকরিচ্যুতির শিকার কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাই করে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে বলা হয়েছে।
সাড়ে আট হাজারের বেশি কর্মীর কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে চার বছরে মোট ২ হাজার ৬৬৮ জনের চাকরি ছাড়ার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক; তারা সবাই স্থায়ী কর্মী ছিলেন।
ব্র্যাক ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রিটেইল, ডিস্ট্রিবিউশন ও এসএমই বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মী চাকরি ছেড়েছেন।
চলতি বছরের মার্চে ব্র্যাক ব্যাংকে চালানো ওই পরিদর্শনকালে চলে যাওয়া কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন-পারফর্মার হিসেবে মূল্যায়িতদের চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয় এবং স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে ‘টার্মিনেট’ করার হুমকি দেওয়া হয় বলে চাকরিচ্যুতির শিকার সকল কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন; ব্যাংকটির চাকরিচ্যুতির পরিসংখ্যানও এই অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করে। টার্মিনেট হলে অন্য কোথাও চাকরির সুযোগ থাকবে না বিধায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কর্মকর্তারা নিজে থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন।
ব্র্যাক ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে পরিচালিত এ পরিদর্শন শেষে গত ২৪ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে ২ জুলাই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয় বিভাগটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিশেষ পরিদর্শন কার্যক্রমে ২০২১ সাল থেকে চার বছরে মোট চাকরিচ্যুতি, জোরপূর্বক অপসারণ ও বরখাস্তের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে দেড় হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই কর্মস্থলে বহাল রাখার তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘকাল একই বিভাগে বহাল থাকা প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে অধীনস্তদের চাকুরিচ্যুতি কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব এবং স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
চাকরি হারানো কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বাদ দেওয়ার কারণ হিসেব ব্যাংকটি সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করতে না পারা, আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করা এবং গ্রাহককে নতুন কার্ড সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা রকম অনিয়মকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যকে সম্পূর্ণ ভুল বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, কারেক্ট (সঠিক) তথ্যের জন্য হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
পরে ইকরাম কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে ব্যাংকের অবস্থান তুলে ধরে একটি লিখিত ব্যাখ্যা দেন। সেখানে বলা হয়, কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম আইন ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়।
তিনি বলেন, ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদিত নীতি অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডিসট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের আওতায় ব্র্যাঞ্চ মার্কেটিং ও ব্র্যাঞ্চ রিলেশিনশিপ থেকে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হয়েছে।
তাছাড়া রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগ থেকেও বড় সংখ্যক কর্মীকে বাদ দেওয়া হয়। এ বিভাগের আওতায় অনেকগুলো ইউনিট আছে। যেমন- আবাসন ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ইমপ্লোয়ি ব্যাংকিং, গাড়ির ঋণ এবং আমানত সংগ্রহ ইউনিট রয়েছে। এসব ইউনিট থেকেও চাকরিচ্যুত করা হয়। এ থেকে বাদ যায়নি এসএমই বিভাগও।
বিভিন্ন কারণে ব্র্যাক ব্যাংকের চাকরি যাওয়া বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট বেসরকারি ব্যাংকটির মানব সম্পদ বিভাগের ওপর বিশেষ পরিদর্শনের সুপারিশ করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমোদনের পর মার্চে এ পরিদর্শন করা হয়।
পরির্দশনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্র্যাক ব্যাংকে ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যথাক্রমে ৭২০ জন, ৯৯৮ জন, ৮৩৫ জন ও ১১৫ জন চাকরি ছেড়েছেন। এদের বড় অংশ (২০২১-২০২৩ সালে মোট ৯৫ শতাংশ) নিজে থেকে চাকির ছেড়ে (রেজিগনেশন) দেয়। অভিযোগ আছে, এদের বড় অংশকে ‘জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য’ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, টানা চার বছর সর্বোচ্চ পারফরমেন্স থাকার পরও মাত্র এক বছর ‘নন-পারফরমার’ দেখিয়ে অনেক কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন।
তবে ব্র্যাক ব্যাংক দাবি করছে, মোট চাকরি ছেড়ে যাওয়াদের মধ্যে ২৩৯ জনকে ‘পারফরমেন্সের কারণে চাকরিচ্যুত’ করা হয়েছে।
পরির্দশন প্রতিবেদনে ব্যাংকটির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বিশৃংখলার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্যাংকটির সকল স্থায়ী কর্মকর্তারা একক মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়িত হয় না। বিভিন্ন বিভাগের পারফরমেন্স মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের পছন্দ কিংবা অপছন্দ প্রয়োগের অবাধ সুযোগ রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিভাগের পাশাপাশি বিভাগভিত্তিক আলাদা মূল্যায়ন পদ্ধতি থাকায় বিভাগীয় প্রধানদের আলাদা ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা ব্যাংকটির সার্বিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে বিশৃংখল এবং অকার্যকর করে তুলেছে।
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে এসে তাকে হঠাৎ একদিন জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বলা হয়। কারণ জানতে চাইলে মানবসম্পদ বিভাগ থেকে বলা হয়, ২০২২ সালে তার পারফরমেন্স খারাপ ছিল।
২০২০ সালের অগাস্টে এ ব্যাংকে যোগ দেওয়া ওই কর্মকর্তার দাবি, ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০২২ সালে তিনি কিছুটা কম ঋণ আনতে পেরেছিলেন। তবে আগের বছরগুলোতে তার পারফরমেন্সে ভালো ছিল। পারফরমেন্স খারাপ হলে সাধারণ ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বলা হয়। কিন্তু তার বেলায় মে মাসে ‘জোর করে’ পদত্যাগ করানো হয়।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, যাদের ফ্ল্যাট বা গাড়ি আছে তাদের জন্য ২০২২ সালে ব্র্যাক ব্যাংক প্রি- অ্যাপ্রুভড ক্রেডিট কার্ড চালু করে। কর্মীদের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় আমানতের সঙ্গে দুইটা ক্রেডিট কার্ড বিক্রি করার জন্য। তবে রাজধানীর উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত ও মিরপুর এলাকার বেশ কিছু গ্রাহককে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়। পরে তারা খেলাপি হয়ে গেলে ব্যাংক সেই অর্থ ফেরত আনতে পারেনি।
তার দাবি, এজন্য অফিসার পর্যায়ে অনেক কর্মকর্তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ ও টার্মিনেট করা হয়। অথচ ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় তা যাচাই বাছাই করে। শাখা পর্যায়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার নেই।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ক্রেডিট কার্ডের অনিয়মের পরে ব্যাংকের সিনিয়র লেভেলের অফিসার, কার্ড ডিভিশন ও যারা ত্রুটিপূর্ণ প্রডাক্ট কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনুমোদন দেয়, যেসকল ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে জুনিয়রদের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং অপসারণ করা হয়।
চাকরিচ্যুতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলটি আরেকটি অনিয়মের কথা তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়, ব্যাংকটি ১৫৪৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই শাখায় বহাল রেখেছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিষয়ক নির্দেশনার লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেওয়া ব্যাখ্যায় বলেছে, সেন্ট্রালাইজড হওয়ায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সব কাজ বিশেষায়িত এবং বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের দিয়ে এসব কাজ সম্পন্ন করা হয়।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘকাল একই বিভাগে বহাল থাকা প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে অধীনস্তদের চাকুরিচ্যুতি কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব এবং স্বেচ্ছাচারীতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে ব্যাংকটি থেকে ‘টার্মিনেট’ হওয়া কর্মকর্তা এ বি এম সিদ্দিক নামের এক কর্মকর্তার কথা তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নথিদৃষ্টে দেখা যায়, তার (সিদ্দিক) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের প্রতিবেদনে কাশপিয়া আশফাক নামক একজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাশপিয়ার নিয়োগের কোনো অনুমোদন নেই। ১৫ বছরের অধিক সময়কাল ধরে একই বিভাগে কর্মরত ব্যাংকটির হেড অব ইনভেশটিগেসন মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম মৌখিকভাবে উক্ত কর্মকর্তাকে তদন্তে নিয়োজিত করেন এবং মাত্র একজন তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ বি এম সিদ্দিককে টার্মিনেট করা হয়। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনে এ বি এম সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণ করতে পারেনি ব্র্যাক ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ব্যাংকটিকে পুনরায় তদন্ত করার পাশাপশি তদন্ত কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান হাফিজুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হলেও ব্যাংকটি নির্দেশনা পরিপালন করেনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরির্দশন প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে ছাঁটাই, জোর করে চাকরিচ্যুতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবীর তাদের অবস্থান তুলে ধরে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, পারফরমেন্সের ভিত্তিতে পরিচালিত ব্র্যাক ব্যাংকে মূলত তিনটি কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়ে থাকে।
১. পদত্যাগ ২. অবসরগ্রহণ, ৩. কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে।
এ ব্যাংকে গত পাঁচ বছরে (২০২০-২০২৪) মোট ৪ হাজার ৩৫৬ জন কর্মকর্তার যোগ দেওয়া এবং ৩ হাজার ৮১৫ জনের চলে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ২৩৯ জন পারফরমেন্সের কারণে ও ২২২ জন শৃঙ্খলাজনিত কারণে অব্যাহতি পেয়েছেন।
৮ হাজার ৬৬৭ কর্মীবাহিনীর এ কোম্পানিতে গত পাঁচ বছরে পারফরমেন্স এবং শৃঙ্খলাজনিত কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতির এই সংখ্যা ‘অতি সাধারণ’ বলে দাবি করা হয়; বলা হয়, বাকি ৮৭ শতাংশ কর্মকর্তা নিজের ক্যারিয়ার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথা তুলে ধরে বলা হয়, যে সকল কর্মী তাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হন, তাদেরকে নিয়মিত পারফরমেন্স উন্নতি করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়, যা সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া দ্বারা পরিচালিত। এসব চিঠিতে তাদের লক্ষ্যের বিপরীতে অর্জিত পারফরম্যান্সের রেকর্ড সুনির্দিষ্টভাবে বলা থাকে।
কিন্তু যখন দেখা যায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কোচিংয়ের পরও যেসকল কর্মী কোনভাবেই উন্নতি করতে পারছেন না বা দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিজেদের কোনো প্রচেষ্টা নেই, তখন প্রচলিত নিয়ম মেনে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এখানে কোনো ধরনের বৈষম্য ও পক্ষপাতদুষ্টতার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা শৃঙ্খলাজনিত কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ব্যাংক শ্রম আইন ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত বিধিবিধান অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংককে যথাযথ নিয়মে অবহিত করে বলে ব্যাখ্যায় তুলে ধরা হয়।
ব্যাংকের ব্যাখ্যায় স্থায়ী কর্মীদের পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ‘আউটসোর্সড’ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অনেক অস্থায়ী কর্মকর্তা কাজ করেন বলেও তুলে ধরা হয় ব্যাখ্যায়, বর্তমানে এই সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৪ জন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা