ফেনী প্রতিনিধি: অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে আসা ঢলে ফেনী জেলাজুড়ে দ্রুত পানি বাড়ছে। ফলে এ বছরও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জানান, মুহুরী নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া, ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের সাত স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে পরশুরামের চার স্থানে এবং ফুলগাজীতে তিন স্থানে বাঁধ ভেঙেছে বলে জানান তিনি।
এসব নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর আগে, ফুলগাজীতে মুহুরী নদীপাড়ের রাস্তা ধসে দোকান পানিতে তলিয়ে যায়। ফুলগাজী বাজার থেকে রাজেশপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। ফেনীর প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের অন্তর্বর্তী সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
তবে শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল থেকে ফেনীতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বৃষ্টির পানিতে ফেনী শহর নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শহরের অলিতে-গলিতে, কোথাও কোথাও সড়কে দুই থেকে তিন ফুট পানি জমেছে। গ্রামের রাস্তাঘাট অনেক এলাকায় তলিয়ে গিয়ে গেছে।
ফেনী শহর ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়ক শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার রোড, রামপুর শাহীন একাডেমী এলাকা, পাঠান বাড়ি এলাকা, নাজির রোড, শান্তি কোম্পানি রোড ও পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এসব এলাকার রাস্তাঘাটও পানিতে তলিয়ে গেছে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
অটোরিকশা চালক বেলায়েত হোসেন বলেন, গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মানুষ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ বছরও যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে, আবারও বন্যা দেখা দিতে পারে।
গতবারের অভিজ্ঞতায় এবার আগেভাগেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাওয়ার চিন্তা করছেন বলে জানান।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিয়া ইসলাম জানান, সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে মুহুরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সকাল ৭টার দিকে ফুলগাজীর রাজেশপুর সড়কের মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে দুটি দোকান নদীতে পড়ে গেছে। ওই গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার ইউএনও সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, এখন প্রায় সব স্কুলেই ষাণ্মাসিক পরীক্ষা চলছে। সড়কে পানি ওঠায় অনেক স্কুলে অর্ন্তবর্তী পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে বোর্ড পর্যায়ে চলমান পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা