জিয়াউল হক খোকন, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুরে নার্সারি ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব (৫৪) হত্যাকাণ্ডের ৪ দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম টগর।
গ্রেপ্তারকৃত কিশোর অপরাধী হলেন- উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মোস্তফা'র ছেলে জালামিন (১৫)।
লিখিত বক্তব্যে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম টগর জানান, নিহত আবু তৈয়বের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায়। সেখান থেকে ১৪-১৫ বছর পূর্বে উপজেলার আমলা এলাকায় চলে আসেন এবং অঞ্জনগাছী গ্রামে নার্সারি ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তৈয়ব আলির নার্সারিতে জালামিন কাজ করতো। প্রতিনিয়ত দেরি করে কাজে আসায় তৈয়ব আলী তাকে বকাঝকা এমনকি মারধর পর্যন্ত করত।
গত ১৭ নভেম্বর সকালে জালামিন দেরি করে কাজে গেলে সেদিনও কথা কাটাকাটি গালমন্দ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে জালামিনের আরও রাগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেই তিনি ইন্ডিয়ান চ্যানেল সনি আর্ট' থেকে ‘সিআইডি’ সিরিয়াল দেখে হত্যার পরিকল্পনার করে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে গত (২০ নভেম্বর) তারিখ, সন্ধ্যা ৭টার পরে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে কৌশলে ভিকটিমকে শিমুলতলা মাঠের মধ্যে ডেকে আনে জালামিন। তৈয়ব আলী মাঠের মধ্যে আসলে আসামি আলামিন তাকে পিছন দিক থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তৈয়ব আলী মাটিতে পড়ে গেলে জালামিন একাধিক আঘাতের মাধ্যমে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করে বলে জানা যায়।
এছাড়া তিনি আরও জানান, কিশোর অপরাধী জালামিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। শনিবার সকালে আসামিকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিশোর অপরাধী জালামিন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। উক্ত ঘটনায় মিরপুর থানায় গত ২২ তারিখে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল॥
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা