যায়যায়কাল ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিসংতার বিষয়ে এক প্রশ্নে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “প্রতিটি সরকার, যাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে একই অবস্থানে আছি; আমাদের অবস্থান স্পষ্ট- মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানাতে হবে; ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।”
যে কোনো বিক্ষোভ দমনের ক্ষেত্রে আইনের শাসন ও মানবাধিকার বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “যে কোনো বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
“যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ দমনের ক্ষেত্রে সরকারকে আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে, সে কাজে তাদের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে এবং আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে যাব।”
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর সহিংসতার বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দুই এমপির উদ্বেগ জানানোর প্রসঙ্গ টেনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে এমন জবাব আসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো কূটনৈতিক ও নীতিগত পদক্ষেপ নেবে কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন ওই সাংবাদিক।
ব্রিফিংয়ে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন করা হয়। চিন্ময় দাশকে ইসকন নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডও ওই সংগঠনের সদস্য।
এরপর প্রশ্নকারী বলেন, “চিন্ময় দাশকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানো হয়েছে এবং তার আইনজীবীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর কারণে তার পক্ষে কেউ দাঁড়াতে রাজি হচ্ছেন না। এক্ষেত্রে আপনারা কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন?”
উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে নেই। তবে যারা গ্রেপ্তার আছেন তারাও যাতে যথাযথ প্রতিনিধিত্ব দিতে সক্ষম হন এবং তাদের সঙ্গে মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার মেনে আচরণ করতে হবে, সে বিষয়ে আমরা জোর ও চাপ দিয়ে যাব।”
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা