মো. আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর: দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এসব বৈধ অস্ত্রের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি, অর্থাৎ এখনো জমা হয়নি ৪৬ হাজারের বেশি।
মঙ্গলবারের মধ্যে জমা দিতে হবে সব অস্ত্র। সরকারের এমন নির্দেশ থাকলেও রংপুরে এখনো অর্ধেক বেশিই অস্ত্রই জমা হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় ১৫টি অস্ত্র জমা হয়েছে। রংপুর জেলা ও নগর পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রংপুর জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর অর্থাৎ ১৯৭১ সাল থেকে রংপুর জেলায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ৪০৮টি। এরমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন আছে ৩৮৭টি।
সূত্রটি জানায়, ২০২৪ সালে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্র নবায়ন করা হয়েছে ২২৬টি। বাকি অস্ত্রগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় নবায়ন হয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তির কাছে অস্ত্র আছে তিনি বর্তমানে যে জেলায় বসবাস করছেন সেই জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে নবায়ন করেছেন।
জানা গেছে, এসব আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে সাবেক সেনাসদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক বীমায় রয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যক্তি মালিকানায় ৮২টি অস্ত্র রয়েছে। এরমধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলায় রয়েছে ৮টি, পীরগাছায় ৫টি, পীরগঞ্জে ৮টি, গংগাচড়ায় ২টি, তারাগঞ্জে ৮টি ও বদরগঞ্জে ৪টি রয়েছে। বাকি ৪৭টি অস্ত্র রংপুর কোতোয়ালি ও মেট্রো এলাকায় রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এরইমধ্যে মিঠাপুকুরে ১টি, পীরগাছায় ১টি, পীরগঞ্জে ৮টি ও গংগাচড়া উপজেলার অস্ত্র জমা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আগামী চার সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হবে। যারা এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গুলি জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবু বকর বলেন, কিছু অস্ত্র জমা পড়েছে। বাকিগুলোও জমা হতে পারে।
রংপুর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শাহনাজ বেগম জানান, যাদের কাছে বৈধ অস্ত্র আছে এমন হালনাগাদ তালিকা করেছি। অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র জমা হচ্ছে। যারা অস্ত্র জমা দেবেন না তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা