আবুল হাশেম, রাজশাহী প্রতিনিধি: বাঘা উপজেলার বাউশা গ্রামের কৃষক রহুল আমিনের বসতবাড়িরর আংগিনায় কলা গাছের ছায়ায় আদা চাষ সবার নজর কেড়েছে। বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের মত তিনি ৫০ টি বস্তায় আদা চাষ করেন। প্রতিটি বস্তায় ১-২ টি আদার কন্দ লাগান তিনি। আল্লাহর রহমতে প্রতিটি চারায় ভালো ভাবে গজায় এবং সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠেছে।
সিমেন্টের বস্তায় জৈব সার ও বালিমিশ্রিত মাটি দিয়ে ভরাট করে তিনি আদা বপণ করেন। এরপর মাঝে মাঝে গোড়া পঁচা, পাতা হলুদ ও আগা মরা থেকে গাছে নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়েছে। আর আদা যেহেতু ছায়া পছন্দ করে, তাই বস্তাগুলো কলা গাছের ছায়ায় রেখে দেওয়া হয়। বাঘার তৎকালীন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। প্রতিটি বস্তা থেকে প্রায় ২-৩ কেজি আদা পাওয়া যাবে বলে আশা করেন।
সে হিসেবে ৫০ টি বস্তা থেকে প্রায় ১০০-১৫০ কেজি আদা পাওয়া যাবে, যার বাজারমূল্য প্রায় দশ থেকে ১৫ হাজার টাকয়েক কা। ৫০ টি বস্তায় খরচ হয়েছে মাত্র ২-৩ হাজার টাকা।
অল্প পরিশ্রমে বসতবাড়ির ছাঁয়াযুক্ত পতিত জায়গায় আদা চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বাঘা উপজেলার কৃষিতে বৈচিত্রতা আনতে এ বছর বাঘা উপজেলার বাউশা, বাজুবাঘা, মনিগ্রাম ইউনিয়নে প্রায় ৫০০ বস্তা আদা পরীক্ষামূলক ভাবে লাগানো হয়। এখন পর্যন্ত ভালো ফলাফল এসেছে। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যাদের আবাদি জমি নেই তারাও ইচ্ছা করলে বসতবাড়ির আশেপাশে, আঙিনায়, লাউ, শিমের মাচার নিচে, সুপারি বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন। তানোর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, আদা যেহেতু মসলা জাতীয় ফসল, প্রত্যেকেই যদি বসতবাড়িতে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় বস্তা পদ্ধতিতে কিছু কিছু আদা চাষ করেন তাহলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন। প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার জন্য বস্তায় আদা চাষ অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা