নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় গত দেড় মাসে ৩৩টি গরু চুরির ঘটনায় স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ১৫ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে সংঘটিত এসব চুরির কারণে অনেকেই রাত জেগে নিজেদের গরু পাহারা দিচ্ছেন, আবার কেউবা গরু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ডুমরাই এলাকা থেকে পৃথক রাতে ১৬টি গরু চুরি হয়েছে। একই ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষীকোলা থেকে ২টি, মোজাফফরপুর থেকে ৬টি, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া থেকে ১টি, সোনাখাড়া ইউনিয়নের সোনাখাড়া থেকে ৬টি এবং গোপালপুর থেকে ২টি গরু চুরি হয়েছে। সব মিলিয়ে চুরি হওয়া গরুর সংখ্যা ৩৩টি। এসব ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী।
এক রাতে তার সব গরু হারানো ডুমরাই গ্রামের আব্দুল কাদের মির্জা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের বড় একটি সম্বল গরু। একরাতে চোরচক্র আমাদের সব গরু নিয়ে গেলো। এটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা।" থানায় অভিযোগ করেও গরুর কোনো সন্ধান না পেয়ে তিনি হতাশ। একই এলাকার আব্দুল মজিদ খানও গরু হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেননা তার গরুগুলোই ছিল সংসারের একমাত্র অবলম্বন।
তবে চুরি হওয়া গরুগুলোর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় সাধারণ কৃষক ও খামারিদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এই ধারাবাহিক চুরির ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনার ঝড় তুলেছে, যেখানে অনেকেই রায়গঞ্জে গরু চোরদের মদদদাতা এবং উপজেলা প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সচেতন মহল মনে করছেন, গত ৫ আগস্টের পর রায়গঞ্জে এমন খারাপ সময় আসেনি এবং গত দুই মাস ধরে চোরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে। তাদের মতে, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি ও সেবন বেড়ে যাওয়ার পিছনে থানা পুলিশের অবহেলা প্রধান কারণ।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মাসুদ রানা জানান, গরু চুরির ঘটনায় বেশ কিছু মামলা ও সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তিনি কৃষক ও খামারিদেরও আরও সচেতন হয়ে নিজেদের গরুর দেখভাল করার আহ্বান জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা