লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের শেষে রোববার সন্ধ্যায় বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
এবার রৌমারীতে সাতটি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সকাল থেকেই বিহিতপূজার মাধ্যমে পালিত হয়েছে দশমীপূজা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন বিজয়া দশমী।
রোববার সকাল থেকে দশমী বিহিতপূজা শুরু হয়। পূজা শেষে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীতেই দুর্গা কৈলাসে গমন করেন। তাই মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন ভক্তরা। অন্তরে দেবী মাকে রেখে বিদায়ের সুর বাজে ঢাক ও শঙ্খের ধ্বনিতে।
মণ্ডপে মণ্ডপে পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার পাশাপাশি ভক্তদের চোখে বেদনার জল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্য ছিলেন, আনসার, ভিডিপি এবং সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিজিবি, সহকারী পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ও সাংবাদিক।
এরপর পূজার সব কার্যক্রম শেষে দেবীদুর্গাকে দেওয়া হয় বিসর্জন। রৌমারী উপজেলার অধিকাংশ পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় রৌমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজের পুকুরে ও জিঞ্জিরাম নদীর শ্বশান ঘাটে। দুপুরের পর থেকে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নামিয়ে আনা হয় শ্মশান ঘাট ও সরকারি কলেজের পুকুরে।
বিসর্জন উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে রৌমারী থানার পুলিশ। শ্মশান ঘাট ও রৌমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজে পুকুরের পাশে ছিল রৌমারী থানা পুলিশ।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা